Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

রেফার তো হল কিন্তু এ বার?

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল।

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল।

নীতেশ বর্মণ
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯ ০৬:৪৪
Share: Save:

এত দিন জটিল রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকলে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করা হত। এই পথ এখন উল্টে গিয়েছে।

কিডনিতে পাথর। গত বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে যান শিলিগুড়ি তিনবাতি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় বাসফোর। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা বন্ধের কথা জানিয়ে তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। তিনি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন ঠিকই, কিন্তু সেখানে কিডনির উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই বলে তাঁর দাবি। বিভিন্ন পরীক্ষা করে শনিবার সঞ্জয়কে ছুটি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে কিডনি সমস্যার সমাধান হত। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা বন্ধ রেখে জেলা হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। এখানে সেই চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই।’’

শুধু সঞ্জয় নয়, তাঁর মত অনেক রোগীকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অভিযোগ, রোগীকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি না করিয়ে মৌখিক ভাবেই তাঁদের জেলা হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কয়েক দিন ধরে চিকিৎসা পরিষেবা তলানিতে ঠেকেছে। ফলে জেলা কয়েকটি ওয়ার্ডে রোগীদের ভিড় উপচে পড়ছে। কোনও শয্যায় একসঙ্গে দু’জনও থাকতে হচ্ছে বলেও রোগীদের দাবি। কালিয়াগঞ্জ থেকে এক মহিলা তাঁর ছেলের জ্বর, পেটের অসুখ নিয়ে মেডিক্যালে ভর্তি করাতে যান, কিন্তু তাঁদের মৌখিক ভাবে জেলা হাসপাতালে পাঠান হয়। তিনি বলেন, ‘‘ভাল চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল কলেজে যাওয়া। জেলা হাসপাতালে ছেলের কোন উন্নতি হয়নি।’’

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের যা পরিস্থিতি তাতে জেলা হাসপাতালে রোগী রেফার করতেই হচ্ছে।’’ জেলা হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘রোগী বেশি হলে কিছু সমস্যা তো হতেই পারে।’’

শনিবার শিলিগুড়ি হাসপাতালে ইএনটি, জেনারেল মেডিসিনের মতো বহির্বিভাগে চিকিৎসক নেই। রোগীদের পরিবারের অভিযোগ, তিন দিন ধরে অন্তর্বিভাগেও অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎকদের দেখা মিলছে না। বহির্বিভাগে লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীর আত্মীয় শ্যামল দাস বলেন, ‘‘চিকিৎসকরা বাইরে গেলে সময় মতো ফিরছেন না।’’ শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘পরিষেবা বন্ধ রেখে কোনও চিকিৎসক অবস্থানে বসেছেন বলে জানা নেই। পরিষেবা দেওয়ার ফাঁকে অনেকে অবস্থানে যেতে পারেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE