Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ কোচবিহার মেডিক্যালে

ইন্ডোরের সামনেই বসে রোগীর আত্মীয়রা, চলছে খাওয়াদাওয়া

কোথাও পুলিশ নেই। সিভিক ভলান্টিয়ারও নেই। বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীও হাতে গোনা। দুই-এক জায়গায় ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন থাকলেও বেশিরভাগ জায়গায় তা নেই।

আউটডোের ভিড় রোগীদের। কোচবিহারে। —নিজস্ব চিত্র

আউটডোের ভিড় রোগীদের। কোচবিহারে। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ০৩:৪১
Share: Save:

হাসপাতাল যেন বিশ্রামাগার। চিকিৎসাধীন রোগীদের ওয়ার্ডে যাওয়ার পথে বসে রয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। সেখানেই বসে চলছে খাওয়াদাওয়া। ফটকের সামনে দু-একজন নিরাপত্তারক্ষী দাঁড়িয়ে থাকলেও মাঝে মাঝেই হুমকি উড়ে আসছে ওঁদের উপর। কখনও কখনও আবার গেট খুলে ঢুকেও পড়ছেন এক-দু’জন। কোথাও পুলিশ নেই। সিভিক ভলান্টিয়ারও নেই। বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীও হাতে গোনা। দুই-এক জায়গায় ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন থাকলেও বেশিরভাগ জায়গায় তা নেই। এই হাসপাতালেই একাধিকবার হামলা হয়েছে চিকিৎসকের উপরে। রোগীর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুরও হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও এমনই অবস্থা দেখা গেল কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের।

কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার রাজীব প্রসাদ বলেন, “একটি পুলিশ ফাঁড়ি প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ২৫ জন সিভিক ভলান্টিয়ার দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও তা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে খুশি হয়েছি। এই পরিষেবা পেলে ভাল হয়।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত জানান, কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই একজন ডিএসপিকে নোডাল অফিসার করা হয়েছে। কোথায় কোথায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই হাসপাতালে আরও ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “নিরাপত্তার কোথাও খামতি রাখা হবে না। সব দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গত বছরই কোচবিহার জেলা (এমজেএন) হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। ওই সময়ের পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসক-কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে অনেক। অন্তর্বিভাগে শয্যা সংখ্যাও বেড়েছে। তবে অভিযোগ, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করা হয়নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। সারা বছরই হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ রোগীতে ঠাসাঠাসি থাকে। তার উপরে বর্হিবিভাগে প্রতিদিন হাজির হন প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোগী। এই বিপুল পরিমাণ মানুষের আনাগোনা হলেও নিরাপত্তা তেমন কিছুই নেই বলে অভিযোগ। হাসপাতালের কর্মীদের একটি অংশের অভিযোগ, এজেন্সি’র মাধ্যমে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে হাসপাতালে। সেই সংখ্যা ৩৫ জন। তা দিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা সামলানো সম্ভব হয় না। রোগীর আত্মীয়দের অনেকেই এমন আছেন যে জোর করেই ভেতরে ঢুকতে চান না। বাধা দিলেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে হুমকি দিতে শুরু করেন। এক চিকিৎসক বলেন, “গত কয়েক বছরে এই হাসপাতালে একাধিক হামলা হয়েছে। ভাঙচুরের পাশাপাশি চিকিৎসককে মারধর, কর্মীদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। সে সব কথা ভেবে নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE