Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

মালদহ মেডিক্যালে পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে

এনআরএস-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে কর্মবিরতি করে বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা।

চালু: বালুরঘাট হাসপাতালের জরুরি বিভাগ স্বাভাবিকই। —নিজস্ব চিত্র

চালু: বালুরঘাট হাসপাতালের জরুরি বিভাগ স্বাভাবিকই। —নিজস্ব চিত্র

জয়ন্ত সেন 
মালদহ শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০৩:৪০
Share: Save:

জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলনে পড়ুয়ারাও সামিল হওয়ায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজের পঠন-পাঠন লাটে উঠেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে জুনিয়ররা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তারপর থেকেই মেডিক্যালের পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন শিকেয়। একেই পড়ুয়ারা আন্দোলনে। তার উপর শিক্ষক চিকিৎসকেরা হাসপাতালে রোগীদের পরিষেবা দিতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বেশি। ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে। এমনকি, আগামী ১৮ তারিখ থেকে এই কলেজের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়াদের অষ্টম সিমেস্টারের পরীক্ষা রয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সেই পরীক্ষা আদৌ হবে কিনা তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে।

এনআরএস-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে কর্মবিরতি করে বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেদিন দুপুর থেকে তাঁরা হাসপাতালে ঢোকার মূল গেট বন্ধ করে সেখানে বসেই বিক্ষোভ দেখায়। টানা তিনদিন তা চলার পর বৃহস্পতিবার রাতের দিকে সেই আন্দোলন ওঠে। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত খবর, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলন চলছেই। এ দিনও কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তাঁদের অবস্থান আন্দোলন চলে। সূত্রের খবর, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে শামিল হয়েছেন কলেজের প্রথম থেকে চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারাও। তাঁরাও পালা করে দিনরাত অবস্থান-বিক্ষোভে থাকছেন।

এর ফলে ক্লাস হচ্ছেই না। বেশ কয়েকজন পড়ুয়া জানালেন, তাঁরা সকলেই জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থনে তাঁদের পাশে রয়েছেন। ফলে ক্লাস করার অবকাশ নেই তাঁদের। এদিকে, মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, পড়ুয়াদের পাঠদান যাঁরা করেন সেই প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর বা ডেমনেস্ট্রেটররা সকলেই হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে পরিষেবা দিতেই ব্যস্ত। জুনিয়র চিকিত্সকরা কর্মবিরতি পালন করায় তাঁদের পরিষেবার চাপ অনেকটা বেড়েছে। ফলে ক্লাস নিতে তাঁরাও সমস্যায় পড়ছেন। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর রামতনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রোগীদের চিকিৎসায় আমাদের সহযোগিতা করেন জুনিয়ররা। কিন্তু তাঁরা কাজ না করায় ইনডোরে আমাদের উপর চাপ মারাত্মক। তা সত্বেও ক্লাস নিতে গিয়েও দেখা যাচ্ছে পড়ুয়ারা ক্লাসে আসছে না। তাঁরা জুনিয়র চিকিতসকদের সঙ্গে আন্দোলনে বসে রয়েছে। ফলে পঠন-পাঠন বন্ধই।” কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, “কলেজে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE