Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বন‌্ধে ব্যাহত ব্যাঙ্ক পরিষেবা, নগদে নাকাল গ্রাহক

কোথাও এটিএম বন্ধ। কোথাও দরজা খোলা থাকলেও ভেতরে টাকা নেই। ধর্মঘটের দু’দিন টাকার জন্যে হন্যে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রাহকেরা। অনেকে ধর্মঘটের আগের দিন রাতেই পরিস্থিতি আঁচ করে এটিএম থেকে টাকা তুলে রেখেছেন। কিন্তু যাঁরা তা করেননি নাকাল তাঁরা।

কোচবিহারে বন্ধ এটিএম

কোচবিহারে বন্ধ এটিএম

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:০১
Share: Save:

কোথাও এটিএম বন্ধ। কোথাও দরজা খোলা থাকলেও ভেতরে টাকা নেই। ধর্মঘটের দু’দিন টাকার জন্যে হন্যে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রাহকেরা। অনেকে ধর্মঘটের আগের দিন রাতেই পরিস্থিতি আঁচ করে এটিএম থেকে টাকা তুলে রেখেছেন। কিন্তু যাঁরা তা করেননি নাকাল তাঁরা।

কোচবিহার জেলা শহর তো বটেই দিনহাটা, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙার মতো মহকুমা শহরেও পরিস্থিতি এক। গ্রামাঞ্চলে তো কোনও পরিষেবাই মিলছে না। তা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ তীব্র হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এ ভাবে দু’দিন ধরে ব্যাঙ্ক পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার মানে কী? কোচবিহারে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক কর্তা বলেন, “ধর্মঘট থাকায় কিছু করার ছিল না। তার মধ্যেই কয়েকটি এটিএম খোলা রাখা হয়।” এ নিয়ে ক্ষোভ জানান মন্ত্রীও। বুধবার সকালে সাগরদিঘির পাড়ে একটি এটিএমের সামনে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এটিএম বন্ধ দেখে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী বলেন, “সিপিএমের চামচামি করে ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখা, এটিএম বন্ধ রাখা। মানুষকে হয়রানি করা। কালকে আমি আবার আসব।”

কোচবিহার জেলায় এটিএমের সংখ্যা ১৫০ টির উপরে। তার মধ্যে জেলা শহরেই সব থেকে বেশি এটিএম রয়েছে। সাগরদিঘি পাড় এবং ভবানীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এটিএমগুলিতেই সব থেকে বেশি ভিড় হয়। দু’দিন এই দুই জায়গাতেই অধিকাংশ এটিএম বন্ধ থাকায় ভোগান্তি চরমে ওঠে। এক বাসিন্দা, তাপস দে বলেন, “টাকার খুব প্রয়োজন। এটিএমে পেয়ে যাব বলে আগাম তুলে রাখিনি, এখন তো দেখছি কোথাও টাকা নেই। অন্ততপক্ষে পাঁচ জায়গায় ঘুরেছি।” বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, অনেক এটিএমই খারাপ হয়ে পড়ে থাকে। সচলগুলিও বন্ধ থাকায় ভোগান্তি তুঙ্গে ওঠে। কোচবিহার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপ্নতি নারায়ণ মোদক বলেন, “ব্যবসায়ীরা দু’দিন ধরেই ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এটিএমে না টাকা না থাকায় বিপদ আরও বেড়েছে।’’

মেখলিগঞ্জ শহরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দুটি এটিএম স্বাভাবিক থাকলেও অন্য ব্যাঙ্কের একাধিক এটিএমে টাকা ছিল না। এলাকার ব্যবসায়ী অনন্ত তাপাড়িয়া বলেন, ‘‘ব্যবসার কারণে টাকা তোলা ও পাঠানোর দরকার ছিল। ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় প্রবল অসুবিধা হয়।’’ জনজীবন স্বাভাবিক থাকলেও দিনহাটায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম দ্বিতীয় দিনেও ছিল সব বন্ধ। এটিএম বন্ধের ফলে সমস্যায় পড়তে হয় গ্রাহকদের। দিনহাটায় একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম বন্ধ ছিল। দিনহাটার ঝুড়িপাড়ার সম্রাট কুণ্ডু জানান, বুধবার তিনি টাকা তুলতে এটিএমে যান। এটিএম তালা বন্ধ থাকায় টাকা তুলতে না পেরে ফিরে যান। তিনি বলেন, “টাকার জরুরি প্রয়োজন ছিল। তাই ধার িনয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bank ATM Bandh Strike Bharat Bandh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE