প্রতীকী ছবি।
বাইক চুরি চক্রের পাণ্ডাদের জেরা করে আরও দু’টি চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করল ভক্তিনগর থানা। গত ৬ অগস্ট বাইক চুরির অভিযোগে ফারাবাড়ির বাসিন্দা চঞ্চল বর্মণকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
জেরার পর রবিবার ভক্তিনগর থানার পুলিশ ক্রেতা সেজে গিয়ে তমাল হোসেন মুস্তাফা এবং আজাদ আলিকে গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছ থেকে একটি বাইক ও একটি স্কুটি উদ্ধার হয়। ধৃতদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানা এলাকায়। বুধবারই তাঁদের পুলিশ হেফাজত শেষ হল। তাঁদের জেরা করে ফাঁসিদেওয়া থেকে মঙ্গলবার রাতে আরও দু’টি বাইক উদ্ধার হয়। ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল বলেন, ‘‘আমরা একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছি। তদন্ত চলছে।’’ তমাল আর আজাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করে জলপাইগুড়ি আদালত। তিন জনের কাছ থেকে তিনটি বাইক ও একটি স্কুটি উদ্ধার হল।
পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন বাইকের অনেকদিনের ব্যবহৃত খয়ে যাওয়া চাবি থেকেই তৈরি হচ্ছে বাইক চুরির ‘মাস্টার কি’। এরকম বেশ কয়েকটি চাবি ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। গত ৬ মাসে ভক্তিনগর থানা থেকেই চুরি গিয়েছে ৩৩টি বাইক এবং গাড়ি। তার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ১৪টি বাইক। গ্রেফতার হয়েছে মোট ১৫ জন। পুলিশ জানায়, কম বাজেটের গাড়ি আগে এসব চাবি দিয়ে খুলে যেত। কিন্তু এখন নতুন কায়দায় ‘মাস্টার কি’ তৈরি করছে অপরাধীরা। তা দিয়ে দামি বাইক এবং গাড়িও খুলে যাচ্ছে। তারপর সেগুলি বাংলাদেশের দিকে বিক্রি করা হচ্ছে।
কীভাবে কাজ করে চক্রটি? পুলিশের দাবি, চঞ্চল মূলত গাড়ি চুরির কাজই করত। তারপর তা তুলে দেওয়া হত তমাল এবং আজাদের জিম্মায়। গাড়ি চুরি করার পর সেগুলি দ্রুত শহর থেকে বেরিয়ে চলে যাচ্ছে ফাঁসিদেওয়া সংলগ্ন এলাকায়। সেখান থেকেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এসব বাইক। পুলিশ জানায়, চোপড়া থানা এলাকার বাসিন্দা হলেও তমাল এবং আজাদ সেই এলাকায় থাকে না। বরং বাইরে থেকে সেখানে গিয়ে নানারকম দুষ্কৃতী কাজ করে শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায় গা ঢাকা দেয়। অনেকদিন থেকেই এই দু’জনকে পুলিশ খুঁজছিল। বাইক চুরি চক্রের হদিশ পাওয়ার পর নজরে এসেছে, শহরে বাইকের নিরাপত্তা কত ঠুনকো। যে কোনও ‘মাস্টার কি’ দিয়েই খুলে যাচ্ছে নামিদামী কোম্পানির বাইকও। চঞ্চলের মতো আরও কিছু বাইক লিফ্টার তাদের হয়ে কাজ করে। তাঁরা কারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy