ভীত পোষ্য কুকুর। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র
রায়গঞ্জ
প্রায় এক বছর ধরে একটি অসুস্থ ষাঁড়কে বাড়িতে রেখে চিকিত্সা করছেন সুদর্শনপুর এলাকার বাসিন্দা গৌতম তান্তিয়া। গৌতমের দাবি, বুধবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা শব্দবাজির শব্দে ষাঁড়টি আতঙ্কে কাঁপছিল। রায়গঞ্জের মোহনবাটী এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত সোম দীর্ঘ দিন ধরে বাড়িতে একটি কুকুর পুষছেন। পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্তের দাবি, ‘‘শব্দবাজির শব্দে কুকুরটি ভয়ে একাধিকবার দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছিল।’’ ভয়ে গাছ ছেড়ে উড়ে পালিয়েছে পাখিরা। আবার ফিরেছে। আবার উড়েছে।
মালদহ
বাড়িতে এ ঘর থেকে ওঘর ছুটে বেরাত ‘রাজা’। তার দাপাদাপিতে বাড়িতে আসতে ভয় পেতেন পাড়া পড়শিরা। সেই রাজায় গত দু’দিনে শব্দবাজির দাপটে গুটিসুটি মেরে শুয়ে রয়েছে ঘরের মেঝেতে। বাড়ির পোষ্য রাজার এমন অবস্থা ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা রানা সরকারের। শহরের এয়ারভিউ কমপ্লেক্সের বাসিন্দা তথা পশুপ্রেমী সংগঠনের এক সদস্য জানান, “আমার বাড়িতে দুটি কুকুর এবং একটি বিড়াল রয়েছে। শব্দবাজিতে তারা খুব ভয় পায়। তাই দীপাবলিতে আমরা শব্দবাজি তো দূরের কথা বাড়িতে আতস বাজিও পোড়ানো বন্ধ করে দিয়েছি। প্রদীপ জ্বালিয়েই দীপবলি পালন করছি। পশুপাখিদের বিষয়ে মানুষের ভাবা উচিত। আরও সচেতন হওয়া উচিত।
বালুরঘাট
বালুরঘাটে পেশায় আইনজীবী অঙ্কিতা সাহা বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে আমার লিজা নামে একটা পোষা কুকুর ছিল। কালী পুজোর রাতে বাজির শব্দ শুনে হার্টফেল করে মারা যায়। তারপরে এখন বাড়িতে একটা জার্মান শেফার্ড রয়েছে। সেও বাজির শব্দ শুনে ভয় পায়।’’ গত দুই দিন থেকে শহরে বাজি ফাটছে। সেই থেকে অনেকের বাড়িতেই কুকুর ঘরের কোনায় লুকিয়ে থাকছে। খাটের নীচে চলে যাচ্ছে। বাজির শব্দ পেলেই কেঁপে কেঁপে উঠছে। পাখিরাও ভয়ে উড়ে যাচ্ছে এ গাছ থেকে সে গাছ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy