ছবি: সংগৃহীত
আগে ‘নাগরিক বিল’ পরে ‘এনআরসি’। মঙ্গলবার অমিত শাহের বার্তার পরেই অসম লাগোয়া জেলায় সোজাসাপ্টা প্রচারে নামের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।
অসমের নাগরিকপঞ্জি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বিজেপি। এনআরসি-র আতঙ্কে একের পর এক মৃত্যুর অভিযোগও সামনে আসতে শুরু করে। ১৯৭১ সালের আগের নথি খুঁজতে কলকাতায় ছুটতে শুরু করেন মানুষ। অসমে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম নাগরিকপঞ্জিতে নেই। তার মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু রয়েছেন। সব নিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। ওই প্রচারই ধীরে ধীরে তৃণমূল ফের কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে নিজেদের পুরনো গড় উদ্ধারে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। বিজেপি’র কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল। সব স্পষ্ট করে দিয়েছেন আমাদের সর্বভারতীয় নেতা। এ বারে সেই বার্তাই পৌঁছে দেব আমরা।”
কী ভাবে প্রচার করতে চলেছে বিজেপি? আর দেরি না করে পুজোর মধ্যেই নানা ভাবে মানুষের মধ্যে পৌঁছতে চাইছেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, উৎসবের সুযোগেই প্রচার হবে। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট মিটিংয়ের আয়োজন করে বা পুজোর মধ্যেই শারদীয় আড্ডা বসানোর মধ্যে দিয়ে তাঁদের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিতে চাইছেন তাঁরা।
সংখ্যাগুরু ভোট টানতে বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ কথাই প্রচার করতে হবে যে, এখন এনআরসি-র কথা ভাবছে না বিজেপি। আগে নাগরিক বিল এনে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাঁরা আরও প্রচারে আনবে, মুসলিমদের যারা ১৯৭১ সালের আগে থেকে ভারতে রয়েছেন, তাঁদের কোনও অসুবিধে হবে না। একমাত্র ১৯৭১ সালের পরে যারা ভারতে ‘অনুপ্রবেশ’ করেছেন তাঁদের জন্যেই এনআরসি হবে। কোচবিহার জেলার বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ারের পর্যবেক্ষক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “বিজেপির অবস্থান একদম পরিষ্কার। সেই কথাই এবারে আমাদের মানুষদের কাছে নিয়ে যাব। দ্রুততার সঙ্গে তা করা হবে।”
দলীয় সূত্রের খবর, এনআরসি নিয়ে বিজেপির লাগাতার প্রচারে মানুষ অনেকটাই ক্ষুব্ধ, সেই বার্তা পৌঁছে গিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।
লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেও কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের সংগঠন ধসে পড়ে। একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে নেয় বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতিও তৃণমূলের হাতছাড়া হয়। কিন্তু এনআরসি নিয়ে হইচই শুরু হতেই তৃণমূল ফের চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করে। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি গোস্বামী বলেন, ‘‘নাগরিক বিল নিয়ে প্রচার শুরু করা হয়েছে। পুজোর সময়ে স্টলে ফ্লেক্স লাগিয়ে সে সব প্রচার করা হবে। পুস্তিকাও ছাপা হবে। তৃণমূলের মিথ্যে প্রচার এবারে পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy