জনসংযোগে নজর সেই চা বাগানেই৷
লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যত বেশি সম্ভব চা বলয় অধ্যুষিত এলাকার কাছে পৌছাতে মরিয়া শাসক-বিরোধী সব দলই৷ চা বলয়ে জনসংযোগ নিয়ে দুদিন আগেই উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর ‘ধমক’ খেতে হয়েছে আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতাদের৷ সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী নেতাদের বলেছিলেন, শুধু শহরের পাকা রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেরালে চলবেনা৷ নিয়মিত চা বাগানে গিয়ে সেখানকার মানুষের সমস্যা সমাধান ও তারা সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কি না তাও দেখতে হবে৷
মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের দুদিনের মধ্যে চা বলয়ে জনসংযোগ বাড়াতে একই কৌশল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপিও৷ সূত্রের খবর, দলের তরফে জেলার নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শ্রমিক নেতারা চা বলয়ে যেমন কাজ করছেন করবেন৷ পাশাপাশি দলের জেলা নেতাদেরও সপ্তাহে অন্তত একবার করে চা বাগানে গিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে হবে৷ একই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নানা সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে প্রস্তাব দিয়েছেন বিজেপির জেলা নেতারা৷
গত বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাটে জয় পেয়েছিল বিজেপি৷ কিছুদিন আগে শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই মাদারিহাটে বিজেপির ভাল ফল না হলেও জেলার চা বলয়ের অন্যান্য অংশে নির্বাচনের ফল দেখে অনেকটাই উচ্ছসিত জেলার বিজেপি নেতারা৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনে চা বলয়ের এই ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপির নেতারা তাই বর্ষার পর থেকেই দলের শ্রমিক সংগঠনকে দিয়ে বাগানের নানা সমস্যা নিয়ে নামারও ডাক দিয়েছে৷ যে আন্দোলনের মুখ দলের রাজ্য নেতারা হবেন বলে বিজেপির তরফে জানান হয়েছে৷ তবে তার আগে জেলার নেতাদের সপ্তাহে অন্তত একবার করে চা বাগানে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘চা বাগানে ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা নিয়মিত জনসংযোগের কাজ করছেন৷ সেইসঙ্গে আমরাও সপ্তাহে একবার করে সেখানে গিয়ে রাজ্য সরকার যে তাদের জন্য কিছুই করেনি তা শ্রমিকদের বোঝাব৷’’
শুধু তাই নয়, চা শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করারও পরিকল্পনা নিয়েছেন বিজেপির আলিপুরদুয়ারের নেতারা৷ এ ব্যাপারে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ইতিমধ্যেই জেলা নেতারা একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন৷ গঙ্গাপ্রসাদবাবু বলেন, ন্যূনতম মজুরি ছাড়াও রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের জমি-পাট্টা সহ ন্যুনতম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করছেনা৷ ঠিকমত রেশনও পাচ্ছেননা শ্রমিকরা৷ বিষয়গুলি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের অনুরোধ করতে চাই আমরা৷
যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারার তৃণমূলের জেলা নেতারা৷ শাসকদলের আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যদি চা শ্রমিকদের জন্য কিছু করেন তাহলে খুবই খুশি হব৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রের সরকার যে শ্রমিকদের ভাওতা দিয়ে শুধু ভোট নিয়েছে, বিজেপির নেতারা চা বলয়ে গেলেই তার আঁচ পেয়ে যাবেন৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy