প্রতীকী ছবি।
উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরে মালদহ জেলাজুড়ে প্রচারে রীতিমতো ঝড় তুলেছে বিজেপি। দলের যুব সংগঠনের ডাকে ৭ ডিসেম্বর সেই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিজেপির যুব সংগঠন এই ডাক দিলেও তার প্রচারে দেখা মিলছে দেলর নেতা, বিধায়ক থেকে সাংসদ—সবারই। এবার সেই অভিযানকে সফল করতে চা চক্রের পাশাপাশি চলছে দেওয়াল লিখন, পদযাত্রা, পথসভা। জেলা যুব মোর্চার দাবি, অন্তত দশ হাজার যুব কর্মী মালদহ থেকে অভিযানে যাচ্ছেন। তবে তৃণমূলের যুব সংগঠন এই প্রচারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
গত পাঁচ দিন ধরে জেলার বিভিন্ন ব্লকে এই আন্দোলনের সমর্থনে প্রচার চলছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করছেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। বুধবারও তিনি পুরাতন মালদহের সাহাপুর পঞ্চায়েতের ঝন্টু মোড়ে অভিযানের সমর্থনে ‘চায় পে চর্চা’য় অংশ নেন। পরে পদযাত্রা করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে একই ইস্যুতে বড়সড় পদযাত্রা করা হয় হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডিতেও। সেখানে খগেনের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্র বসু, জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শুভঙ্কর চম্পটিরা। পদযাত্রা শেষে সেখানে একটি সভাও হয়। একই ভাবে এ দিন বিকেলে সাংসদ-নেতারা বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাটে পদযাত্রা করেন। মানিকচক ব্লকেও দিন পদযাত্রা করা হয়। সংগঠন সূত্রে খবর, আজ শুক্রবার এই ইস্যুতে ইংরেজবাজার শহর, রতুয়া ও মোথাবাড়িতে পদযাত্রা করা হবে।
খগেন বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করেছে। তারই প্রতিবাদে অভিযান হবে।’’ জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শুভঙ্কর বলেন, ‘‘জেলাজুড়ে জোর প্রচার চলছে। এই ঝড়েই তৃণমূল সরকারের টনক নড়বে।’’
এ দিকে যুব মোর্চার এই আন্দোলন প্রসঙ্গে মালদহ জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘বিজেপির এটা মনে রাখা উচিত যে বাম আমলে ৩৪ বছরে উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নয়ন হয়নি। কিন্তু তৃণমূল সরকার আসার পর এখানে কাজ হয়েছে। আসলে বিজেপি উন্নয়ন দেখতে পায় না। তাই মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy