প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে ফের একবার লাভ জেহাদ বিতর্ক৷ তবে এ বার আর ভিন্ রাজ্যে যাওয়া কোনও শ্রমিককে নিয়ে বিতর্ক নয়৷ এ বারের এই বিতর্কটা একেবারে রাজনীতির অন্দরে৷ আর যা ঘিরে রীতিমত অস্বস্তিতে বিজেপি৷
বিজেপি সূত্রের খবর, সম্প্রতি কিছু ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে গোটা বিতর্কের শুরু হয়েছে৷ ওই ফেসবুক পোস্টগুলির কোনওটিতে বিজেপির পার্টি অফিসে লাভ জেহাদকে মদত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনওটিতে সরাসরি বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার নাম করে তিনি লাভ জেহাদকে মদত দিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে৷ যদিও দলের নেতারা বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন৷ তবে তা নিয়ে অস্বস্তি ছড়িয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে।
খোদ গঙ্গাপ্রসাদবাবুর কথায়, “ফেসবুকে কিছু কথা লেখা হচ্ছে বলে আমি শুনেছি৷ যে কথাগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ যারা এ সব লিখছেন, তাঁরা দলের কেউ নন৷ সবাই তৃণমূলের৷ পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন শেষ হলেই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব৷”
তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন, “এমন ঘটনা শুনিনি৷ খোঁজ নিয়ে দেখব৷” তৃণমূলের নেতারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই।
উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “কিছু লোক, যারা দল বা দলের কাজের সঙ্গে যুক্ত নন—তাঁরাই ফেসবুকে এই সব কথা রটাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে৷ তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি৷ দলের উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক রথীন বসু গোটা বিষয়টি দেখে দলকে রিপোর্ট দেবেন৷” রথীনবাবুও বলেন, “দলকে দিন কয়েকের মধ্যে রিপোর্ট দেব৷”
বিজেপি-র অস্বস্তির কারণ আলিপুরদুয়ারেই কাণ্ডটি ঘটেছে। গত বিধানসভা নির্বাচন কিংবা সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের নিরিখে বিজেপি আলিপুরদুয়ারকে শক্ত ঘাঁটি বলে মনে করছে। তাই দলের অন্দরে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তবে প্রকাশ্যে দলের শীর্ষ নেতারা যে জেলা সভাপতির সঙ্গেই রয়েছেন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy