ফাইল চিত্র।
আর ১৭ দিন পরে কালিয়াগঞ্জে ভোট। এই পরিস্থিতিতে প্রচার তুঙ্গে সব শিবিরেই। বিজেপিও নেমে পড়েছে শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে। দু’দিন ধরে কালিয়াগঞ্জে এসে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলের রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু উপনির্বাচনের মুখে এনআরসি নিয়ে বিজেপির উদ্বেগ কমছে না। মানুষের মধ্যে এনআরসি আতঙ্ক যাতে এখানে দলের আশায় কোনও ভাবে জল ঢালতে না পারে, সে জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন নেতারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জে বিজেপির একটি কর্মিসভা হয়েছে। সেখানে দলের জেলা নেতাদের পাশাপাশি বিধানসভা কেন্দ্রের ১০টি পঞ্চায়েত এলাকার নেতাদের একাংশ হাজির ছিলেন। দলের অন্দরের খবর, কর্মিসভায় এনআরসি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ, বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং দলের জেলা সভাপতি নির্মল দাম। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, ‘‘দলের বুথস্তরের নেতাদের পাশাপাশি ব্লক ও জেলা স্তরের নেতাদেরও কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে, পথসভা করে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক কাটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জে এসেছেন রাহুল। ২৩ নভেম্বর, নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ওই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার চালাবেন বলে খবর। এনআরসির আতঙ্কে নির্বাচনে দলের ফল খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা দলেই। শীর্ষ নেতৃত্ব সেই ভয়ে রাহুলকে কালিয়াগঞ্জে ঘাঁটি গেড়ে থেকে বাসিন্দাদের বোঝানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রাহুলের বক্তব্য, ‘‘এনআরসি নিয়ে তৃণমূল সর্বত্র বাসিন্দাদের ভুল বোঝাচ্ছে। আমি নির্বাচনী প্রচারে এনআরসি নিয়ে বাসিন্দাদের আতঙ্কগ্রস্ত না হওয়ার জন্য বোঝাচ্ছি। এনআরসি কার্যকরী হলে এদেশের একজনও বৈধ নাগরিকের কোনও সমস্যা হবে না।’’
এর আগে সোমবার কালিয়াগঞ্জের বাঘন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময়ে এনআরসি নিয়ে বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্নের মুখে পড়েন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ শহরে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কর্মিসভাতেও মাঠ ভরেনি। তাতেই বাড়তি উদ্যোগী হয়েছেন রাহুল।
তৃণমূলের অবশ্য দাবি, এনআরসির জেরে উপনির্বাচনে খারাপ ফলের আশঙ্কা করছে বিজেপি। সেই কারণে, বিজেপি নেতৃত্ব বাসিন্দাদের এনআরসি নিয়ে ভয় না পাওয়ার অনুরোধ করছেন।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল এনআরসিকে পাল্টা হাতিয়ার করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করছে। দলের অন্দরের খবর, বুধবার দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানিকে ফোন করে আগামী ২৩ নভেম্বর, প্রচারের শেষদিন পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জে পড়ে থেকে এনআরসির বিরুদ্ধে একটানা প্রচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy