প্রতীকী ছবি।
পুলিশের তরফে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি মেলেনা বলে অভিযোগ৷ ভরসা বলতে তাই কারও বাড়ির উঠোন কিংবা চার দেওয়ালে ঘেরা ঘর৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে আলিপুরদুয়ার জেলায় সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে এ ভাবেই ছোট ছোট বৈঠকে জোর দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা৷ কথ্য ভাষায় যাকে বলা হয় ‘খুলি’ বৈঠক। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিনই এ ধরনের বৈঠক চলছে বলে দাবি নেতাদের৷
আলিপুরদুয়ারে দলের ফলে অনেকটাই খুশি বিজেপি রাজ্য নেতারা৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলার মাদারিহাট আসনটি জয় পেয়েছিল বিজেপি৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও একটি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের একটি আসনে বিজেপি জয় পায়৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে দলের এই ‘সাফল্য’ ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি নেতারা এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন৷
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘জেলার কোথাও পুলিশ প্রশাসনের তরফে আমাদের কোনও সভা-সমাবেশ, এমনকী মিছিল করার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না৷ কিন্তু তা বলে তো আমাদের নেতা-কর্মীরা চুপ করে বসে থাকতে পারেন না৷ তাই বাড়ির উঠোন বা কারও বাড়ির ঘরকে বেছে নিয়েই লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক চলছে৷’’
তবে শুধু বৈঠকের নামে বৈঠক নয়৷ বিজেপি নেতাদের দাবি, এই খুলি বৈঠকগুলি সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতেও যথেষ্টই সাহায্য করছে৷ কেমন করে? দলের এক জেলা নেতার দাবি, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন হওয়া এই বৈঠকগুলির মধ্য দিয়ে কেউ কেউ দল বদল করে অনেকে বিজেপিতে যোগও দিচ্ছেন৷ অথচ, বাড়ির উঠোন বা চার
দেওয়ালের মধ্যে এই বৈঠকগুলি সীমাবদ্ধ থাকায়, তা নিয়ে বাইরে খুব বেশি হইচইও হচ্ছে না৷ ফলে দল বদল করা ওই মানুষগুলিকে শাসকদলের ‘টার্গেটে’ও পড়তে হচ্ছেনা৷
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলার নেতাদের দাবি, শুধু যে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের বৈঠক জেলায় করা হচ্ছে তা নয়৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও দলের তরফে জেলায় জুড়ে এই পন্থা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি তাদের৷ জেলার বিজেপি নেতাদের কথায়, সেজন্যই তৃণমূলের সন্ত্রাস কিংবা পুলিশের জুলুম সত্ত্বেও প্রতিটি বুথের কর্মীরা ঝাপিয়ে পড়ে জেলার প্রায় সিংহভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনেই প্রার্থী দাঁড় করাতে পেরেছিল৷ আর লোকসভা নির্বাচনের আগে তাদের লক্ষ্য, খুলি বৈঠকের মধ্য দিয়ে বুথে বুথে সংগঠনকে আরও বৃদ্ধি করা৷
যদিও বিজেপির এধরণের বৈঠককে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃমমূলের নেতারা৷ দলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, ‘‘বিজেপি যে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা না করে চুপ করে বসে থাকবে তা আমরা বিশ্বাস করিনা৷ কিন্তু আমাদের নেতা-কর্মীরাও বসে নেই৷ তারা প্রতিনিয়ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করছেন৷ মানুষের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে তাদের পাশে
থাকছেন৷ ফলে বিজেপি কোনও কোনও বাড়িতে গিয়ে খুলি বৈঠক করলেও, এই জেলার মানুষকে তারা পাশে পাবে না৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy