প্রতিবাদ: ইসলামপুর থানায় বিজেপি সমর্থকেরা। নিজস্ব চিত্র
চোপড়ার তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে জেলা জুড়ে রাতেই থানা ঘেরাও-অবরোধ শুরু করেছে বিজেপি।
চোপড়াতে একটি পুলিশের গাড়িতেও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে, ভাঙচুর করে জ্বালানো হয়েছে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতেও। শনিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীরা তাণ্ডব চালাতে শুরু করে বলে পুলিশের দাবি। আজ, রবিবার বারো ঘণ্টার উত্তর দিনাজপুর জেলা বনধেরও ডাক দিয়েছে বিজেপি।
শনিবার রাত সাড়ে সাতটা থেকে ইসলামপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। কয়েকশ সমর্থক থানার সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভ শুরু হয় চোপড়া এবং রায়গঞ্জে। ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলে রায়গঞ্জে। এ দিকে চোপড়ায় একটি পুলিশের জিপেও আগুন লাগানো হয়। বিজেপির অবশ্য দাবি, তৃণমূলই বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে। বিজেপির দাবি চোপড়ার চাকদাগছ এলাকায় তাদের সমর্থকদের অন্তত ২৫টি বাড়িতে আগুন দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে চলেছে যথেচ্ছ লুঠপাটও। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, ‘‘বিকেল থেকে কয়েক দফায় তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে এর প্রতিবাদ করেছে। আগামীকাল জেলা জুড়ে বারো ঘণ্টার বনধ হবে।’’
বনধের মোকাবিলায় পথে নামার কথা জানিয়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতারা বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে কথা বলেছেন। জেলার সব দোকানবাজার স্বাভাবিক থাকবে বলে দাবি করেছেন জেলা তৃমমূল সভাপতি অমল আচার্য। জোর করে বন্ধের চেষ্টা হলে আইন মেনে পদক্ষেপ হবে বলে প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy