ফাইল চিত্র
রামনবমীর পরে এ বার জন্মাষ্টমীকে সামনে রেখে আসরে নামছে বিজেপি। আগামী কাল, রবিবার জন্মাষ্টমী। সে দিন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিজেপি নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন। যা দেখে তৃণমূলের অভিযোগ, ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে দলের নামে ব্যবহার করে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই সঙ্গে ছোট শিশুদের মনেও খারাপ প্রভাব তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “শিশুদের হাতে অস্ত্র পর্যন্ত ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হিন্দু ধর্মের অনুষ্ঠান হিন্দুদের, তা কোনও দলের নয়। বিজেপি সেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে নিজেদের নামে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের ওই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে চাইছে না। বিজেপির কোচবিহার জেলার সদ্য প্রাক্তন সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে ওই অনুষ্ঠানের প্রচার করছেন। তিনি বলেন, “ওই অনুষ্ঠান বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। আমি একজন হিন্দু হিসেবেই ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিই। সেই সঙ্গে সমস্ত হিন্দুকে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। তাতে দোষের কী আছে!’’ তাঁর কথায়, ‘‘আসলে তৃণমূল সব জায়গায় রাজনীতি দেখছে। মানুষের থেকে দূরে সরে গেলে এমনই হয়।” একই ভাবে বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “ধর্মের রাজনীতি তৃণমূল করছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোটের রাজনীতিতে ব্যবহার করছেন তাঁরা। এ বারে সবাই তা বুঝতে পেরেছে। তাই জন্মাষ্টমীর মতো অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক করে তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না।”
রবিবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেলা ১১টার সময়ে কোচবিহার মদনমোহনবাড়ির সামনে থেকে শোভাযাত্রার ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করবে। ওই অনুষ্ঠান ঘিরেই প্রচার শুরু হয়েছে।
গত লোকসভা উপনির্বাচনে কোচবিহারে বামেদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। এর পর থেকে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের লড়াই তীব্র হয়ে ওঠে। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনেও অধিকাংশ আসনে হেরে গেলেও ভোটের একটি ভাল অংশ নিজেদের ঘরে তুলে নেয় বিজেপি। এই অবস্থায়, আগামী লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে লড়াই শুরু করেছে বিজেপি। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, সাধারণ মানুষ বিজেপির সঙ্গে নেই। তাই ধর্ম ব্যবহারের চেষ্টা করছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy