দলের জেলা সভাপতি গ্রেফতারের পর সতর্ক ভাবে পা ফেলতে চাইছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপি নেতৃত্ব। দলের এক নেত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় জেলা বিজেপি সভাপতি শুভেন্দু সরকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সোমবার রাতে তিনি গ্রেফতার হন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার জেলার কয়েক জায়গায় পথ অবরোধ হয়। বুধবার অবশ্য বিজেপির তরফে বুনিয়াদপুর ছাড়া জেলায় তেমন কোথাও কোনও বিক্ষোভ হয়নি।
এ দিন কুমারগঞ্জ এবং কুশমণ্ডি এলাকায় দলবদলের অনুষ্ঠান নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় জেলা নেতৃত্বকে। জেলা বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি, আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর দিকেই লক্ষ্য রেখে এগোচ্ছেন তাঁরা। দলীয় সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের পরই জেলা সভাপতির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধে। দলের অন্দরে নেতৃত্ব বদলের আওয়াজ উঠতে থাকে। তার মধ্যে আগামী ২১ জুলাই জেলা কংগ্রেস সভাপতি-সহ বিরোধী দলের অনেক নেতা-কর্মী বিজেপিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিতে চলেছেন। ওইদিন বালুরঘাটের ওই সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়েরা যোগ দিতে আসছেন বলে খবর।
বিজেপির নেতাকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, কোনও রাজনৈতিক ঘটনার জেরে জেলা সভাপতি গ্রেফতার হননি। বুনিয়াদপুরে দলের সহ সভাপতি মৌসুমি মজুমদারকে অপমান ও তাঁকে অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠে জেলা সভাপতি শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে। পরে মৌসুমি আত্মহত্যা করলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তাঁর স্বামী। বিজেপির কয়েকজন নেতা জানান, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি কতটা জড়িত সেটা বুঝেই পা ফেলতে চান তাঁরা।
পরবর্তী কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করতে এ দিন বুনিয়াদপুরে বিজেপি নেতৃত্ব বৈঠক করেন বলে জেলা নেতাদের দাবি। সভাপতি জেলে যাওয়ায় জেলার ছ’জন সহ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে কাকে ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মানস সরকার বলেন, ‘‘জেলা সভাপতি শুভেন্দুবাবু গ্রেফতারের প্রতিবাদে অন্য জেলাতেও আন্দোলন হচ্ছে। আগামী দিনে আমরা এ জেলায় প্রতিবাদ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy