প্রতীকী ছবি।
মোদীর সভায় যেতে উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। দল এবং কর্মী সমর্থকেরা মিলে একশোর মতো ছোটগাড়ি ভাড়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে দেখা যায় দলের বিভিন্ন এলাকার কর্মী সমর্থকেরা মিলে ৩৭টি বাস ভাড়া করে ফেলেছেন। সেই সঙ্গে অন্তত ৭০টি ছোট গাড়ি ভাড়া করেও জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে কর্মী সমর্থকেরা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে জেলা থেকে প্রায় হাজার চারেক নেতা-কর্মী সমর্থক শুক্রবার নরেন্দ্র মোদীর সভায় ময়নাগুড়িতে হাজির ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। চোপড়ার দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ শিলিগুড়ি থেকে একাধিক বাস ভাড়া করে আনেন।
উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ১৭টি বাসে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রওনা হন। তাঁদের বিভিন্ন ধাবায় দাঁড় করিয়ে বাসেই রাত কাটান। বিশেষ করে ময়নাগুড়ির কাছে পৌঁছে সেখানকার একটি ধাবায় খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এ দিন ভোরে বাকি বাসগুলোতে রওনা হন কর্মী-সমর্থকেরা। ময়নাগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকার ধাবাগুলোর একাংশে তার জেরে সকাল আটটার মধ্যে খাবার শেষ হয়ে যায়। উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাস ভাড়া করে দলের অনেক কর্মী-সমর্থক মোদীর সভায় এসেছেন। কর্মী সমর্থকেরা এতটাই উৎসাহী যে, নিজেরা মিলে ভাড়া করেছেন।’’
বালুরঘাট থেকে মালদহ থেকেও কিছু কর্মী সমর্থক যোগ দেন। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শ’দুয়েক কর্মী দু’টি বাসে করে ময়নাগুড়িতে মোদীর সভায় যোগ দেন বলে বিজেপির জেলা আহ্বায়ক নীলাঞ্জন রায়ের দাবি। তৃণমলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘ময়নাগুড়ির সভায় এ জেলা থেকে বিজেপির হাতে গোনা কয়েকজন নেতা ও কর্মী গিয়েছিলেন বলে খবর পেয়েছি।’’
তবে দূরত্ব কয়েকশো কিলোমিটার হলেও মালদহ থেকে জলপাইগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর সভায় ভিড় করেন মালদহের বিজেপির কর্মী, সমর্থকদের অনেকে। শুক্রবার ভোর থেকে ট্রেনে করে জলপাইগুড়ি রওনা দেন একাংশ। অনেকে আবার সড়ক পথেই রওনা হন। কর্মী, সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখে উচ্ছ্বসিত জেলার বিজেপি নেতারা। বিজেপির জেলা নেতা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সভা জলপাইগুড়িতে না মালদহে হচ্ছে বোঝাই দায়। কর্মী, সমর্থকেরা স্বেচ্ছায় ট্রেনে, বাসে করে জলপাইগুড়িতে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বার্তা আমরা এবার জেলার প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে দেব।” সপ্তাহ দুয়েক আগে এই জেলাতেই জনসভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy