Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মন্দিরের পাশে বোমা

রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘কে বা কারা, কোথা থেকে ও কী কারণে দু’টি এলাকায় বোমা মজুত করেছিলেন, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

অকুস্থলে: বোমা উদ্ধারের পরে বীরনগরে। নিজস্ব চিত্র

অকুস্থলে: বোমা উদ্ধারের পরে বীরনগরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১৩
Share: Save:

পৃথক দু’টি এলাকায় একটি বোমা উদ্ধার ও একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়াল। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ রায়গঞ্জ থানার দুর্গাপুর এলাকার আমলাপাড়া এলাকায়। অন্য দিকে, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ রায়গঞ্জ শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বীরনগর লাগোয়া এলাকায় বিপ্লবী ক্লাবের দুর্গামন্দির লাগোয়া একটি পরিত্যক্ত ঘরে বিকট শব্দে একটি বোমা ফেটে যায়। বিস্ফোরণের জেরে ওই ঘরের টিনের চালা ও কাঠের দরজার একাংশ উড়ে যায়। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ ও সিআইডির কর্তারা স্নিফার ডগের সাহায্যে ঘটনাস্থলগুলিতে তল্লাশি চালান। পরে মালদহ থেকে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি শুরু করেছেন।

রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘কে বা কারা, কোথা থেকে ও কী কারণে দু’টি এলাকায় বোমা মজুত করেছিলেন, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

বিপ্লবী ক্লাবটি তৃণমূল প্রভাবিত বলে পরিচিত। বিপ্লবী ক্লাবের পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা তথা স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তপন দাসের বক্তব্য, ‘‘এ দিন ক্লাবের দুর্গা মন্দিরের পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। কেন এমন ঘটনা ঘটল, সেই ব্যাপারে ক্লাব বা পুজো কমিটির কোনও সদস্যের কিছু জানা নেই।’’

পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য সানকিং দাসের দাবি, ‘‘পরিত্যক্ত ওই ঘরটি ক্লাবের বা মন্দিরের সম্পত্তি নয়। সেটি একটি রেশনের দোকান ছিল।’’ তিনি দাবি করেন, ‘‘এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুজোর মুখে কেউ বা কারা ক্লাব ও পুজো কমিটির নামে বদনাম রটাতে ঘরের ভাঙা অংশ দিয়ে বোমা রেখে পালিয়ে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, পরিত্যক্ত ওই ঘর থেকে সুতলি ও বহু লোহার টুকরো উদ্ধার হয়েছে। অনুমান, সেগুলি দিয়ে ওই বোমাটি তৈরি করা হয়েছিল।

এ দিন আমলাপাড়া এলাকার দুর্গাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে ওই বোমাজাতীয় ওই বস্তুটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন বাসিন্দারা। পরে মালদহ থেকে বম স্কোয়াড ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটিকে উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে।

পুলিশের দাবি, সেটি সকেট বোমা। বড় ক্ষতি হতে পারত।

বস্তুত, আমলাপাড়া এলাকাটি ইটাহার ও রায়গঞ্জ থানার সীমানা এলাকায়। কিছু দিন আগে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইটাহারের বাসিন্দা দুই যুবককে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ওই ঘটনার সঙ্গে আমলাপাড়া এলাকায় বোমা উদ্ধারের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি, দুষ্কৃতীরা ওই এলাকায় ডাকাতি কিংবা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বোমা মজুত করেছিল কি না, তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bomb Socket Bomb
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE