প্রতীকী ছবি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ও লেখা পোস্ট করার পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার রাতে ইংরেজবাজার থানার যদুপুর কমলাবাড়ি গ্রামের ঘটনা। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলে স্ত্রী এবং আরও দু’জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত রকি সাটিয়ার (৩২) পুরাতন মালদহ পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন।
শুঁড়িপাড়ার বাসিন্দা রকির সঙ্গে ছ’বছর আগে চাঁচলের গোয়ালপাড়ার সুহানা পারভিনের বিয়ে হয়। তাঁদের তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, পারিবারিক কারণে কমলাবাড়ি গ্রামে শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। অভিযোগ, ওই যুবতীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই গোলমাল হত। রকিকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মানসিক ভাবে নির্যাতন করতেন বলেও অভিযোগ।
এ দিন সন্ধে ছ’টা নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো এবং তিন লাইনের একটি লেখা পোস্ট করেন রকি। ভিডিয়োতে তাঁর উপরের অত্যাচারের কথা জানান তিনি। উল্লেখ করেন স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের কথাও। তার পরে রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ শোয়ার ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে।
পরিবারের লোকেরা মালদহ মেডিক্যালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রকিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে অভিযোগে তুলে তিন জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মৃতের দাদা লুতফর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘ভাই তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাই সমস্ত কিছু উল্লেখ করে গিয়েছে।’’
অপর দিকে, রকির বিরুদ্ধেই পাল্টা বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্ত্রীর পরিবারেরই একাংশ। পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy