Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

তৃণমূল নেতার গাড়িতে গুলি

ইটাহারে তৃণমূলকর্মীকে গুলি করে খুনের পরে এক সপ্তাহ কাটেনি। এ বার সেখানেই তৃণমূলের দুই নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অন্য গাড়িতে গিয়ে লাগে বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৮
Share: Save:

ইটাহারে তৃণমূলকর্মীকে গুলি করে খুনের পরে এক সপ্তাহ কাটেনি। এ বার সেখানেই তৃণমূলের দুই নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অন্য গাড়িতে গিয়ে লাগে বলে অভিযোগ। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের সৎসঙ্গ এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে।

উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের নির্দেশে শুক্রবার দুপুরে করণদিঘি ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি আজাদ আলি রায়গঞ্জ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই ঘটনার পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে। বিজেপির অবশ্য পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তৃণমূল নেতাদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোল কিংবা গাড়ির গায়ে কোনও দাগ মেলেনি বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের দাবি।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ আজাদ, করণদিঘি ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুভাষ সিংহ, করণদিঘির আলতাপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সাত জন সদস্য সহ করণদিঘি ও চাকুলিয়া এলাকার কয়েকজন তৃণমূল নেতা তিনটি ছোট গাড়িতে চেপে ইটাহারে অমলবাবুর বাড়িতে যান। করণদিঘি ও গোয়ালপোখর ২ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের ব্যাপারে তাঁরা অমলবাবুর পরামর্শ নিতে তাঁর বাড়িতে যান বলে তৃণমূলের দাবি। আজাদের অভিযোগ, ‘‘রাত ১১টা ২৬ মিনিটে ও সাড়ে ১১টা নাগাদ করণদিঘির বাসিন্দা সুদেব কুণ্ডু নামে এক তৃণমূল নেতার মোবাইল ফোনে একটি অজানা নম্বর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ফোন করে অমলবাবুর বাড়িতে উপস্থিত তৃণমূল নেতাদের খুনের হুমকি দেন।’’ তাঁর দাবি, সেই হুমকি অগ্রাহ্য করে তাঁরা অমলবাবুর সঙ্গে বৈঠক শেষ করে রাত ১টা ১০ মিনিট নাগাদ তিনটি গাড়িতে চেপে করণদিঘির উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাত দেড়টা নাগাদ তাঁদের গাড়িগুলি রায়গঞ্জের সৎসঙ্গ এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পৌঁছতেই আজাদ ও সুভাষের চলন্ত গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা একরাউণ্ড গুলি ছোড়ে। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পিছনে থাকা পঞ্চায়েত সদস্যদের গাড়িতে লাগে।’’ তাঁরা একটু এগিয়ে গাড়ি থামিয়ে অমলবাবুকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পুলিশ সুপারকে ফোনে অভিযোগ জানান তখনই।

অমলবাবুর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি রাজনৈতিক শক্তিতে তৃণমূলকে রুখতে পারছে না বলে এন আক্রমণ করছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তৃণমূল নেতাদের গাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূলেরই দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC Group Conflict
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE