এ ভাবেই ধর্নায় শামিল হয়েছিলেন প্রতিবাদীরা। —ফাইল চিত্র
নতুন নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে চাকুলিয়ায় ধর্না অবস্থান আপাতত স্থগিত রাখলেন আয়োজকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ২৮ জানুয়ারি থেকে ফের অবস্থান শুরু করা হবে।
গত সোমবার থেকে চাকুলিয়ার কানকি বাসস্ট্যান্ডে ধর্না শুরু করা হয়েছিল। তাতে চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি ছিল মহিলাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের বক্তব্য ছিল, নয়াদিল্লির শাহিনবাগের এক টুকরোই যেন উঠে এসেছে কানকিতে।
বৃহস্পতিবার সেই ধর্নাই আপাতত স্থগিত ঘোষণা করলেন আয়োজকেরা। তবে একইসঙ্গে তাঁরা জানালেন, আন্দোলন সবে শুরু হয়েছে। ফের বড় আকারে তা চালু হবে।
অন্যতম আয়োজক তথা স্থানীয় বাসিন্দা জেসমিন খাতুন বলেন, ‘‘গত তিন দিনে ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সকলে অবস্থানে শামিল হন। তাতে আমরা প্রেরণা পেয়েছি। আগামী দিনে এই আন্দোলন আরও শক্তিশালী করে তোলা হবে।’’
ওই ধর্নামঞ্চে প্রথম থেকেই ছিলেন চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)। তিনি বলেন, ‘‘২৭ জানুয়ারি বিধানসভায় নতুন নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত বিলের প্রস্তাব রয়েছে। তখন বিধানসভায় হাজির থাকা জরুরি। বামেদের তরফ থেকে এই বিলের প্রস্তাব এসেছিল। দেরিতে হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিষয়টি বুঝেছেন।’’
ভিক্টর আরও জানান, নাগরিকপঞ্জি ও নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি থাকবে। তাঁর কথায়, ‘‘বিধানসভায় প্রস্তাবিত বিল নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হচ্ছে তা জানা জরুরি। ২৮ জানুয়ারি থেকে ফের ধর্না শুরু হবে।’’
তবে ওই ধর্নামঞ্চ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছেই। তা নিয়ে ভিক্টর বলেন, ‘‘অরাজনৈতিক এই মঞ্চকে তৃণমূল বার বার রাজনৈতিক বলে অপপ্রচার করেছে। সাধারণ মানুষ তাতে গুরত্ব না দিয়ে ধর্না মঞ্চে শামিল হয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ও অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি স্থানীয় স্তরের তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও এসেছেন মঞ্চে।’’
তবে চাকুলিয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মিনহাজউল আরফিন আজাদের দাবি, ‘‘তৃণমূলের কোনও নেতা-কর্মী ওই মঞ্চে যাননি। ভিক্টর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণেই ওই মঞ্চ তৈরি করেছেন। সেখানে তৃণমূলের কারও শামিল হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’’
ভিক্টরের পাল্টা দাবি, ‘‘তৃণমূল অরাজনৈতিক ভাবে নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে মঞ্চ গড়ে ডাকুন। আমি সেখানে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy