কখনও কুকুরের মুখোমুখি। কখনও খাঁচার। কিন্তু খাঁচা দেখে দূরেই রইল বাঁদরের দল।ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
খাঁচা পাতার সময় মাঝেমধ্যেই উঁকিঝুঁকি দিতে দেখা গিয়েছে তাকে। কিছুক্ষণের জন্য গাছের মগডাল থেকে মাটিতে নেমেও এসেছিল। একটি কুকুরের সঙ্গেও খুনসুঁটি করেছে। তার ফাঁকেই নজর ছিল বনকর্মীদের খাঁচা পাতার দিকে। একবার খাঁচার সামনেও গিয়েছিল। মনোযোগ দিয়ে বনকর্মীদের খাঁচা পাতবার পুরো সময়টুকু দুই বাঁদরের চোখের পলক পড়েনি। কিন্ত যেই খাঁচা পাতবার কাজ শেষ করে বনকর্মীরা দূরে সরে দাঁড়ালেন, তখনই উধাও হয়ে গেল দু’জন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও দেখা মিলল না আর। কোচবিহারে লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাঁদরের দলটিকে পাকড়াও করতে মঙ্গলবার বন দফতর খাঁচা পাতলেও লাভ হয়নি কোনও। কোচবিহারের ডিএফও রথীন রায় বলেন, “ বাঁদর ধরার চেষ্টা জারি রয়েছে।”
বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় একমাস ধরে কোচবিহার শহরের গুঞ্জবাড়ি, সুভাষপল্লী ও লাগোয়া এলাকা থেকে বিশ্বসিংহ রোড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একদল বাঁদর। ঘরে ঢুকে বাসিন্দাদের খাবার প্যাকেট, জামাকাপড় তুলে নিয়ে যাওয়া থেকে গাছের ফল, কুমড়ো সাবাড় করে অতিষ্ঠ করে তুলছে তারা।
গত এপ্রিলে শহরের নতুন বাজার এলাকায় বাঁদরের কামড়ে নয় বাসিন্দা জখম হন। ফলে এবারও বাঁদরের অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার ওই বাঁদরের দলকে ধরতে গুঞ্জবাড়ি লাগোয়া দিঘির পাড়ে জলদাপাড়া থেকে আনা খাঁচা পেতে কলা-সহ বিভিন্ন ফল রাখা হয়। কোচবিহারের রেঞ্জ অফিসার সুরঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, খাঁচা পাতবার পরে আর ধারেকাছে আসেনি বাঁদরের দল। নজর রাখা হচ্ছে এখনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy