ভ্যালেন্টানস ডে-তে শিলিগুড়ির সূর্য সেন পার্কে ছড়িয়ে প্রেমের মুহূর্ত। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশি নিরাপত্তায় নির্বিঘ্নে ‘প্রেম’-এর আয়োজন! এমনও হয় নাকি! জলপাইগুড়ির তিস্তা উদ্যান, জুবিলি পার্কে এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
রবিবার দিনভর পুলিশি বন্দোবস্ত দেখা গেল জলপাইগুড়ির তিস্তা বাঁধে। পুজোর সময়ে বা উৎসবে যেমন শহরের রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়, এ বছর ভ্যালেনটাইনস ডে উপলক্ষে তেমন বন্দোবস্ত করেছিল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। তিস্তা এবং করলা বাঁধ, জুবিলি পার্কে দেখা গেল কয়েক হাত অন্তর পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের। বাইকে চেপে পুলিশি টহল চলল তিস্তা উদ্যান আর রাজবাড়ি পার্কের আশপাশে।
যে কোনও দিনই তিস্তা বাঁধের এক থেকে তিন নম্বর স্পার, করলা বাঁধ, জুবিলি পার্ক, তিস্তা উদ্যানে তরুণ-তরুণী থেকে মাঝবয়সী প্রেমিক-প্রেমিকাদের দেখা যায়। সকাল, দুপুর, বিকেল যে কোনও সময়েই বাঁধ অথবা লাগোয়া নদীতে নৌকা ভ্রমণ সব বয়সীদের কাছেই আকর্ষণ। গত শনিবার সরস্বতী পুজোর দিন বাঁধে ভিড় উপচে পড়েছিল।
এ দিন যে ভিড় আরও বাড়বে তা ধরেই নিয়েছিল জেলা পুলিশ। সে কারণে এ দিন সকাল থেকেই পুলিশি বন্দোবস্ত রাখা হয় বাঁধে। এ দিন দুপুরে বাঁধে গিয়ে দেখা যায় রোল-মোমোর দোকান বসেছে। চায়ের মতো ঠান্ডা পানীয় আর আইসক্রিম নিয়ে হকারদেরও দেখা গিয়েছে। শহরের একটি ফাস্ট ফুডের দোকান তো বাঁধেই কিয়স্ক তৈরি করে খাবার বিক্রি করেছে। গ্যাস বেলুন, চকোলেটের দোকান সব মিলিয়ে প্রেম উদযাপনের যাবতীয় অনুষঙ্গ হাজির বাঁধেই। সেই সঙ্গে দেখা গিয়েছে জুবিলি পার্কের আশপাশে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দল, মহিলা পুলিশ কর্মীরাও ছিলেন। জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়ার কথায়, ‘‘বাঁধে সকলের নিরাপত্তা বজায় রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল। সরস্বতী পুজোর দিনও শহরের রাস্তায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল।’’
তাই জুবিলি পার্ক, তিস্তার চরে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা চলল নির্বিঘ্নেই। দেদার বিক্রি হল ঠান্ডা পানীয়, রোল, হৃদয়াকৃতির গ্যাস বেলুন। কেউ আবার সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে মোবাইল ধরিয়ে নিজেদের ছবিও তুলিয়েছেন। যেমন পৃথ্বীশা সরকার বললেন, ‘‘প্রতিবারই এই দিনে আমরা বাঁধে আসি। কিছু উটকো ছেলে এসে কটুক্তি করে। এ বার পুলিশ থাকায় কেউ আশপাশে ঘেঁষতে পারেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy