Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভর্তি নিয়ে মারামারি জলপাইগুড়ির প্রসন্নদেব মহিলা মহাবিদ্যালয়ে

কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। ঘটনার মূলে ভর্তির জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ। জলপাইগুড়ির প্রসন্নদেব মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজন ছাত্রী আহত হন।

হাতাহাতি: ভর্তি এবং র‌্যাগিং নিয়ে গন্ডগোলের জেরে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির প্রসন্নদেব মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

হাতাহাতি: ভর্তি এবং র‌্যাগিং নিয়ে গন্ডগোলের জেরে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির প্রসন্নদেব মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৮ ০২:৪১
Share: Save:

কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। ঘটনার মূলে ভর্তির জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ। জলপাইগুড়ির প্রসন্নদেব মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজন ছাত্রী আহত হন। শুধু জলপাইগুড়ি শহর নয়, জেলার একটি নামী মহিলা কলেজে এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে শিক্ষানুরাগী মহলে।

এ দিন দুপুর থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। এক গোষ্ঠীর ছাত্রী সৌম্যজিতা চন্দ, লাকি বানুর অভিযোগ, বহিরাগত হয়েও ছাত্রী সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদিকা অনিপ্রা ঘোষ কলেজে এসে নতুন ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন। তাদের আরও দাবি, ওই প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদিকা কলেজ পাশ করে গিয়েছেন এবং এখন বহিরাগত হওয়া সত্ত্বেও কলেজ নিজের দখলে রাখতে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছেন।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অনিপ্রা। তাঁর দাবি, পাশ করলেও, অন্য একটি কোর্স করার দরুণ তাকে কলেজে আসতে হয়। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা তোলার মিথ্যে অভিযোগ করছে বিরুদ্ধ গোষ্ঠী। পাশাপাশি অভিযোগ, কলেজে ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্রীদের উপর নির্যাতন করে কয়েকজন নেত্রী। গায়ত্রী ছেত্রী এবং স্নেহা দাস নামে প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রী অভিযোগ জানিয়েছে, তাঁদের নির্যাতন, মারধর করার পাশাপাশি মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ, অধ্যাপিকারা কেউ কেউ এসে দাঁড়িয়ে থেকে ছাত্রীদের চুলোচুলি দেখে ফিরে গিয়েছেন।

দুই-পক্ষের অভিযোগ এবং পালাটা অভিযোগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সৌম্যাজিতা এবং অনিপ্রার অনুগামীরা। কলেজের বাইরে এবং কলেজের ভিতর দফায় দফায় মারপিট চলে দুপক্ষের মধ্যে। আহত হয় বেশ কয়েকজন। ছাত্রীদের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত হওয়ায় অনিপ্রাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুপক্ষই থানায় অভিযোগ করা হবে বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: খাতা ঠিকঠাক দেখা হয়েছিল কি, প্রশ্ন পার্থের

ঘটনায় ফের একবার প্রকাশ্যে এসেছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘ঘটনা জেনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে দলের রাজ্য নেতৃত্বকেও জানানো হবে।’’

জেলার একটি নামী মহিলা কলেজে এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে শিক্ষানুরাগী মহলে।

তবে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে এই অবস্থা চললেও কলেজ কতৃপক্ষ হাত গুটিয়ে বসে ছিল বলে অভিযোগ। কলেজ সূত্রে খবর, এ দিন অধ্যক্ষ কলেজে ছিলেন না। অন্য অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা কেউ কেউ এসে দাঁড়িয়ে থেকে ছাত্রীদের চুলোচুলি দেখে ফিরে গিয়েছেন। অথচ কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE