Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

অমিতের সভাস্থল নিয়ে তরজা চলছেই

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূল নানা ভাবে গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা আটকানোর চেষ্টা করছে। যাতে কোনও মাঠ আমরা না পাই সে জন্য শুরু থেকেই বাধা দেওয়া হয়েছে। এখন যে দলীয় কর্মী জমি দিয়েছেন তাঁকেও ভয় দেখানো হতে পারে। তবে অমিত শাহের সভা আমরা করবই।”

এই মাঠে: ঝিনাইডাঙার এই ধান খেতেই বিজেপির সভা করার কথা স্থির হয়েছে। নিজস্ব চিত্র

এই মাঠে: ঝিনাইডাঙার এই ধান খেতেই বিজেপির সভা করার কথা স্থির হয়েছে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৯
Share: Save:

দলীয় কর্মীর দেওয়া ধানের জমিতেও যাতে বিজেপি নেতা অমিত শাহ সভা করতে না পারেন, সে জন্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। শনিবারই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের খাস তালুক ডাউয়াগুড়ির ঝিনাইডাঙায় বিজেপি কর্মী চিনু কুণ্ডু অমিতবাবুর সভার জন্য জমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। জাতীয় সড়কের ধারে তাঁর এক দাগে সাড়ে ১৬ বিঘা জমি রয়েছে। ওই জমিতেই সভা হবে। ইতিমধ্যেই পরিকাঠামো তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপির অভিযোগ, আগে পাঁচটি মাঠে সভা করার জন্য বিভিন্ন সরকারি দফতরে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। তাদের দাবি, রাজ্যের শাসক দল প্রভাব খাটিয়ে সর্বত্র সভার জন্য মাঠ দিতে বাধা দেয়। এ বারে চিনুদেবীকেও ভয় দেখানো হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজেপির। তৃণমূল সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূল নানা ভাবে গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা আটকানোর চেষ্টা করছে। যাতে কোনও মাঠ আমরা না পাই সে জন্য শুরু থেকেই বাধা দেওয়া হয়েছে। এখন যে দলীয় কর্মী জমি দিয়েছেন তাঁকেও ভয় দেখানো হতে পারে। তবে অমিত শাহের সভা আমরা করবই।”

বিজেপির এক সময়ের পঞ্চায়েত সদস্যা চিনুদেবী অবশ্য বলেন, “আমাদের জমি। আমরা সভা করতে দিয়েছি। আশা করছি কেউ বাধা দেবে না।” তবে সেই সঙ্গেই তাঁর আশঙ্কা, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে জোর করেই বুথ আটকে জয়লাভ করে তৃণমূল, তাই এ বারেও তারা তেমন ভাবেই প্রভাব খাটাতে পারে। ডাউয়াগুড়ি মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথবাবুর গ্রামের বাড়ি। তিনি অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিজেপির সংগঠন নেই। এ জন্যেই একটি বুথে গিয়ে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অমিত শাহ। ওই এলাকাতেও বিজেপি জিততে পারেনি। এর পরে এমন জায়গাও থাকবে না।”

গত লোকসভা উপ নির্বাচনে বামেদের পিছনে ফেলে কোচবিহারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। এর পরেই কোচবিহারকে পাখির চোখ করে এগোতে থাকে। এর আগেই বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী কোচবিহারে সফর করেন। এ বারে সেই প্রচারে জোর আনতে বিজেপির রথযাত্রার কর্মসূচি নেওয়া হয় কোচবিহার থেকেই। এই কর্মসূচির জন্য মাঠ না পেয়ে খানিকটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বিজেপি নেতারা। অবশেষে দলেরই এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যা এগিয়ে আসায় কোচবিহারে অমিত শাহের রথযাত্রা নিয়ে অনেকটাই চাপমুক্ত বিজেপি নেতারা। বিজেপির দাবি, ওই সভায় এক লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে। বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “আসলে অমিত শাহের কর্মসূচির কথা শুনে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। এ জন্যেই সভা আটকানোর চেষ্টা করছে। মানুষই এর জবাব ভোটের বাক্সে দেবে।”

তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “পাশের রাজ্য অসম থেকে শুরু করে গোটা দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু রাখেনি বিজেপি। তারাই আবার গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা করবে। মানুষ গোটা দেশেই জবাব দেবে।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘সভা করতে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP Meeting Amit Shah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE