শহরে কুয়াশার চাদর। নিজস্ব চিত্র
সকাল-সন্ধ্যায় কুয়াশা। দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে যাচ্ছে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৮ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই। দিনরাতের তাপমাত্রায় ১৭-১৮ ডিগ্রি ফারাক। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের পাহাড় লাগোয়া এলাকার আবহাওয়া এখন এমনই। আবহাওয়াবিদদের অনেকেই জানাচ্ছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দিনরাতের তাপমাত্রার এত ফারাক সাম্প্রতিক অতীতে খুব একটা দেখা যায়নি।
সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘একটা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সবে চলে গিয়েছে। সে কারণেই দিনরাতের তাপমাত্রায় ১৫-১৬ ডিগ্রি ফারাক হচ্ছে। যা কি না গত কয়েক বছরে এ সময়ে হয়নি। আগের ঝঞ্ঝাটি দুর্বল থাকায় বৃষ্টি হয়নি। এ বার আরেকটি ঝঞ্ঝা ঢোকার পরিস্থিতি রয়েছে। তা হলে বৃষ্টি হতে পারে।’’
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রধান সুবীর সরকার জানান, উপগ্রহ চিত্র দেখে মনে হচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরেকটা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে হিমালয় সংলগ্ন সিকিম ও উত্তরবঙ্গে। সে সময়ে বৃষ্টিও হতে পারে। সুবীরবাবু বলেন, ‘‘এক দশক আগে ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তুষারপাতও হয়েছে দার্জিলিঙে। এ বার তেমন সম্ভাবনা এখনও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’’
এই ‘নরম-গরম’ আবহাওয়াকে বুঝেশুনে না চললেই জ্বর-সর্দি-কাশির জীবাণু শরীরে হানা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শেখর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘ঋতু পরিবর্তনের সময়ে অনেক ধরনের জীবাণু অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেটা মাথায় রেখে চলতে হবে। দিনে গরম বলে ঢকঢক করে ঠান্ডা পানীয় খেলাম। বিকেলের পরে আচমকা ঠান্ডা পড়ে। সে সময়ে ভারী শীত পোশাক না থাকলেও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। বিশেষত, এ সময়টা অনেক উৎসব হয়। যাঁদের সাইনাসজনিত সমস্যা রয়েছে, রাতে খোলা আকাশের নীচে বেশি ক্ষণ থাকলেই সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।’’ শিলিগুড়ি হাসপাতাল সূত্রের খবর, সেখানেও জ্বর-সর্দি-কাশির রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে রোজ গড়ে ৫০-৬০ জন জ্বরে আক্রান্ত চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ওই সংখ্যা প্রায় তিন গুণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy