অবরোধ: ইংরেজবাজারে ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে জাল শংসাপত্রে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগের জেরে আদিবাসীদের বিক্ষোভে তাতছে দক্ষিণ দিনাজপুরও।
তফসিলি উপজাতির (এসটি) জাল শংসাপত্রে বালুরঘাটের একাধিক হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ তুলে সাতটি আদিবাসী সংগঠনের তরফে পরপর দু’দিন বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ আন্দোলনের পর এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। গত বুধবার পতিরামের বাহিচা হাইস্কুলে নবনিযুক্ত এক সংস্কৃত শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিলের দাবি তুলে সাতটি আদিবাসী সংগঠনের কয়েক হাজার সদস্য তিরধনুক হাতে টানা সাত ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধের করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। বালুরঘাটের মহকুমাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর তদন্তের আশ্বাস পেয়ে আদিবাসী সংগঠনের প্রতিনিধিরা আন্দোলন তুলে নেন। তবে তাঁরা সাতদিন সময় দিয়েছেন প্রশাসনকে। শনিবার আদিবাসী সংগঠনের নেতারা জানান, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে জেলা জুড়ে তারা আন্দোলনে নামবেন। মহকুমাশাসক ইশা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। শংসপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
তারও দু’দিন আগে বালুরঘাটের বড়কইল হাইস্কুলে একই অভিযোগ তুলে স্কুল ঘিরে সশস্ত্র বিক্ষোভ দেখান হয় বলে অভিযোগ। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের জেলা সভাপতি এতোয়া ওঁরাও অভিযোগ করেন, ‘‘বালুরঘাটের বড়কইল, বাহিচা, খাসপুর এবং কুমারগঞ্জের বরম হাইস্কুলে সদ্যনিযুক্ত চার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করতে হবে। কারণ, মল্লিক, মাহাতো, মণ্ডল, রায়, হালদার, সিংহ প্রভৃতি সম্প্রদায় এসটি নন বলে তাদের দাবি। নকল শংসাপত্র সংগ্রহ করে এসটি কোটায় এসএসসি পাশ করে ওই শিক্ষকেরা নিয়োগ পেয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। আদিবাসী সোস্যাল ও কালচারাল সোসইটির(আসেকা) জেলা সম্পাদক মদন মুর্মুর দাবি, ‘‘বাহিচা হাইস্কুলে নবনিযুক্ত সংস্কৃতের ওই শিক্ষিকা মাহাতো সম্প্রদায়ভুক্ত। অথচ তিনি এসটি কোটার শংসাপত্রে নিয়োগপত্র পেয়েছেন।’’
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষককে বরখাস্তের দাবি জানিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ডিআই এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। অপর এক আদিবাসী সংগঠনের সম্পাদক রতন মার্ডি সরকারী দফতর থেকে জাল জাতিগত শংসাপত্র বিলির অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি করেছেন। এ দিন জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট বিভাগে নবনিযুক্ত শিক্ষকদের জাতিগত শংসাপত্র পরীক্ষা করে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এতে কয়েকদিন সময় লাগবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy