প্রতীকী ছবি।
তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকল চোর। দু’টি ঘরের এগারোটি আলমারি ভেঙে কাগজ-পত্র তছনছ করল৷ ভাঙল দু’টি কম্পিউটারও৷ কিন্তু চুরি গেল শুধু সেই দু’টি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক। মঙ্গলবার গভীর রাতে ময়নাগুড়ির টেকাটুলি রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা৷
তালা ভেঙে সব জিনিস তছনছ করলেও, মূল্যবান কোনও জিনিস কেন নিল না চোরেরা। এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে স্কুলের অন্দরে। চুরির পিছনে কোনও তথ্য লোপাট বা নথি হাতানোর উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজও।
এ দিন সকালে স্কুলের অস্থায়ী নৈশপ্রহরী প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর মুন্সী রায়কে ফোন করে চুরির বিষয়টি জানান৷ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জলপাইগুড়ি থেকে টেকাটুলি ছুটে যান তিনি৷ দীপঙ্করবাবু বলেন, ‘‘গিয়ে দেখি আমার ঘর ও পাশের অফিস ঘরের তালা ভাঙা৷ সব কাগজ-পত্র তছনছ হয়েছে৷ দু’টি কম্পিউটারও ভাঙা।’’ দীপঙ্করবাবু জানান, স্কুলে একজনই অস্থায়ী নৈশপ্রহরী থাকেন৷ কিন্তু এ দিন ওই প্রহরী দীপঙ্করবাবুকে জানান, মঙ্গলবার রাতে স্কুলেই যাননি তিনি৷ তবে না যাওযার কথা আগে কাউকে জানাননি ওই প্রহরী। যা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে৷
পুলিশের আরও সন্দেহ বেড়েছে, চোরেরা মূল্যবান জিনিস হাতের কাছে পেয়েও তা না নিয়ে যাওয়ায়৷ স্কুল শিক্ষকরা জানান, একটি আলমারির ভিতরে একটি ক্যামেরা ছিল৷ সেটি টেবিলের মধ্যে সাজিয়ে রেখে চলে গিয়েছে চোরেরা৷
স্কুল সূত্রের খবর, স্কুলে ঢোকার পরেই চোরেরা একটি সিসিটিভি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছিল৷ বাকি ক্যামেরাগুলোরও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করার চেষ্টা হয়েছিল৷ কিন্তু তাতে লাভ হয়নি৷ স্কুলের তরফে ইতিমধ্যেই সিসিটিভির ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন৷
ময়নাগুড়ির এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘চুরির উদ্দেশ্যটা এখনও স্পষ্ট নয়৷ নৈশপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy