Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ঘিরে ফের উদ্বেগ

এ বছরও প্রশ্ন বির্তক পিছু ছাড়ল না মাধ্যমিকের। গত বছর ময়নাগুড়ির স্কুল নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এ বার বিতর্কের কেন্দ্রে ধূপগুড়ি। মঙ্গলবার মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষার দিনই প্রশ্নের ছবি বাইরে চলে আসার অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গে।

সুনসান: সুভাষনগর হাইস্কুল চত্বর। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

সুনসান: সুভাষনগর হাইস্কুল চত্বর। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:১১
Share: Save:

এ বছরও প্রশ্ন বির্তক পিছু ছাড়ল না মাধ্যমিকের। গত বছর ময়নাগুড়ির স্কুল নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এ বার বিতর্কের কেন্দ্রে ধূপগুড়ি। মঙ্গলবার মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষার দিনই প্রশ্নের ছবি বাইরে চলে আসার অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গে।

গত বছর ময়নাগুড়ির সুভাষনগর স্কুলে কিছু প্রশ্নের প্যাকেট আগে খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। যার জেরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে শাস্তিও পেতে হয়েছিল। মঙ্গলবার, পরীক্ষা শুরুর পরপরই মোবাইলে বাংলার প্রশ্নপত্রের ছবি চালাচালি হতে শুরু করে। অভিযোগ, পরীক্ষার আগে থেকেই প্রশ্নপত্র মোবাইলে ঘুরতে শুরু করেছিল। তবে জেলা পুলিশের দাবি, সে রকম কোনও প্রমাণ তাঁরা পাননি।

তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নের কয়েকটি পাতা ছড়িয়েছে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরে। তাই একে প্রশ্নফাঁস বলা যাবে না।’’

এ দিন মোবাইলে দু’রকম ছবি ভাইরাল হয়। একটি হল প্রশ্নপত্রের শুধু প্রথম পাতা। তাতে উপরে ‘২০১৯ বাংলা-প্রথম ভাষা’ লেখা। ঝকঝকে ছবিটি দেখে পুলিশ কর্তাদের একাংশের অনুমান, টেবিলে প্রশ্নপত্র রেখে ধীরে সুস্থে মোবাইলে ছবি তোলা হয়েছে। তাতেই এক অভিভাবক প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে মোবাইল নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। তারপরেও কী করে এমনটা হল?’’ এই ছবি ধূপগুড়ির কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রের বলেই দাবি।

অন্য যে কটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, তা কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরের তোলা ছবি। এক ছাত্র বেঞ্চে বসে প্রশ্ন তুলে ধরেছে। জানালার ওপার থেকে ছবি তোলা হয়েছে। এই ছবিগুলিতে প্রশ্নের লেখা খুব একটা স্পষ্ট নয়। এই ঘটনা মালদহের রতুয়া ২ ব্লকের কোনও স্কুলে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মানিকচকের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সনাতন মণ্ডল বলেন, “দুপুর থেকেই সোসাল মিডিয়ায় প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা যদি সত্যি হলে মারাত্মক। ছেলের পরবর্তী পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা আরও বেড়ে গেল।’’ যদিও মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্যের দাবি, জেলায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনও ঘটনা নেই। একই দাবি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপসকুমার বিশ্বাসেরও।

পড়ুয়ারা তাতে আশ্বস্ত হতে পারছে না। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় উঠেছে। তবে ফের বাংলা পরীক্ষা দিতে হবে না বলে পর্ষদ এ দিন কলকাতায় জানিয়ে দেওয়ায় নিশ্চিন্ত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Madhyamik Pariksha Question Leak
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE