Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

জোড়া দেহ উদ্ধারে ধন্দ কাটছে না

কাঁদোবাড়ির বানিয়াপাড়ায় জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ধন্ধ কাটছে না পুলিশের৷ ময়নাতদন্তের পর পুলিশ প্রাথমিকভাবে ভাবে নিশ্চিত জলে ডুবেই গৃহবধূ কামিনী মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে৷

তদন্তে পুলিশ কুকুর। —ফাইল চিত্র

তদন্তে পুলিশ কুকুর। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৪৭
Share: Save:

কাঁদোবাড়ির বানিয়াপাড়ায় জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ধন্ধ কাটছে না পুলিশের৷ ময়নাতদন্তের পর পুলিশ প্রাথমিকভাবে ভাবে নিশ্চিত জলে ডুবেই গৃহবধূ কামিনী মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে৷ অন্যদিকে ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন সুজিত ঋষি ওরফে সোনু৷ কিন্তু তারপরেও অনেক প্রশ্ন ভাবাচ্ছে খোদ তদন্তকারীদের৷ যার কোনও উত্তর এখনও পর্যন্ত তাঁদের কাছে নেই৷

শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ির কাঁদোবাড়ির বানিয়াপাড়াতে তিস্তা নদীর বাঁধের দুদিকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ বাঁধের একদিকে নদীতে আধডোবা অবস্থায় কামিনী মন্ডলের দেহটি পাওয়া যায়৷ বাঁধের অপরদিকে নিজের বাড়িতে আমগাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সোনুর দেহ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ডলঘাট এলাকায় পাশাপাশি দোকান থাকার সুবাদে কিছু দিন ধরে আগে থেকে সোনু ও কামিনীর মধ্যে পরিচিতি হয়৷ বৃহস্পতিবার রাতে তারা একটি জলসাতেও গিয়েছিলেন৷ তারপর তারা নিখোঁজ হন৷ সকালে দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে৷

ঘটনার পর তদন্তের শুরুতেই ঝটকা লাগে পুলিশের৷ এটা খুন না আত্মহত্যা তা নিয়েই ধন্দে পড়ে যান পুলিশ কর্তারা৷ তবে জেলার এক পুলিশ কর্তা অবশ্য এ দিন বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও তাদের হতে না এলেও তারা মনে করছেন এটা আত্মহত্যারই ঘটনা৷ পুলিশ সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিকভাবে তারা জানতে পেরেছেন, জলে ডুবেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে৷ অন্যদিকে গলায় ফাঁস লাগিয়েই মারা গেছে সোনু৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি জলে ডুবেই ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন তাহলে তার দেহটির অর্ধেক অংশ কী করে মাটির ওপরে এলো? এ থেকেই তদন্তকারীদের কারো কারো সন্দেহ, হয়তো কোনও কারণে ওই গৃহবধূ প্রথমে নদীতে ঝাঁপ দেন আত্মহত্যা করতে৷ তারপর তাঁকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন সোনুও। কারণ সোনুর জামায় ভেজা ভাব ও বালি পাওয়া গেছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর৷ কিন্তু পাড়ে তুলে আনলেও বাঁচাতে না পেড়েই হয়তো এরপর নিজেও আত্মহত্যা করেছে সে ৷

তদন্তকারীদের একাংশ এমনটা সন্দেহ করলেও, তারপরও কিন্তু অনেক প্রশ্ন দানা বাঁধছে৷ যার উত্তর তাঁদের কাছেও নেই৷ যেমন, ওই বধূকে জল থেকে তোলার পর সোনু যদি আত্মহত্যাই করেন তাহলে তার ঠোটের ফাঁকে ব্লেড এলো কী করে? কেনই বা সোনুর শরীরের নীচের অংশ বিবস্ত্র থাকলো? এই প্রশ্নগুলির উত্তর এখনো পায়নি পুলিশ৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘একটি-দুটি নয়, এই ঘটনায় অনেক প্রশ্নই পুলিশের মনে দানা বাঁধছে৷ যেগুলির উত্তর পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

2 dead bodies confusion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE