Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কবে চালু সিসিইউ রয়েছে ধোঁয়াশা

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, সিসিইউ সাফ করতে সমস্ত শয্যা ও যন্ত্রাংশ বের করতে হচ্ছে। না হলে পরিষ্কার করার সময় ধুলোতে তা নষ্ট হতে পারে। সেই মতো মেডিসিন বিভাগের কয়েকটি ঘরে সেগুলো রাখার ব্যবস্থা হয়।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৪৩
Share: Save:

আগুনে ভেন্টিলেটর পুড়ে যাওয়ায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-এর পরিষেবা কবে চালু হবে তা এখনও স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শনিবার থেকে সিসিইউ মেরামতি এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার শুরু হয়েছে। মহালয়ার দিন অফিস ছুটি থাকলেও সুপার, অধ্যক্ষ এবং পিডব্লিউডির বাস্তুকার, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বৈঠক করে সিসিইউ পরিদর্শন করেন। আগামী সোমবারের আগে সিসিইউ চালু করা যাবে না বলেই তাঁরা জানান। সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘বৈদ্যুতিক লাইন পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভেন্টিলেটরে আগুন নেভাতে গিয়ে সিসিইউ নোংরা হয়েছে। সে সব পরিষ্কার করা হচ্ছে। এরপরে পুরো সিসিইউ জীবাণুমুক্ত করে চালু করা হবে। আমরা দ্রুত সিসিইউ চালু করতে উদ্যোগী। তবে ঠিক কবে তা বলা যাচ্ছে না।’’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, সিসিইউ সাফ করতে সমস্ত শয্যা ও যন্ত্রাংশ বের করতে হচ্ছে। না হলে পরিষ্কার করার সময় ধুলোতে তা নষ্ট হতে পারে। সেই মতো মেডিসিন বিভাগের কয়েকটি ঘরে সেগুলো রাখার ব্যবস্থা হয়। এর আগে ২৯ জুলাই বেলা সাড়ে ৯টায় কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মাতৃমা তথা মাদার এবং চাইল্ড হাবে আগুন লাগে। ১১০ জন শিশু, অসুস্থ সদ্যোজাত এবং ১৪০ জন প্রসূতিকে অন্যত্র সরাতে হয়। চারতলা ভবনের দোতলায় বৈদ্যুতিক প্যানেল রুমে আগুন লেগেছিল। সেখানেই প্রসূতিদের থাকার জায়গা। আগুন নেভাতে গিয়ে ওয়ার্ডগুলো নোংরা হয়। ওই দিন রাতের মধ্যেই ওয়ার্ডগুলো চালু করতে সমর্থ্য হন সেখানকার কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ক্ষেত্রে বাড়তি লোক নিয়োগ করে দ্রুত সিসিইউর পরিষেবা কেন চালু করা যাচ্ছে না তা নিয়ে হাসপাতালের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ মেডিক্যালে সিসিইউ পরিষেবা না পেলে প্রত্যন্ত এলাকার অনেক রোগী বিপাকে পড়বেন।

পূর্ত দফতরের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের দায়িত্বে থাকা এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র কৌশিক দে জানান, তাঁরা রাত জেগে কাজ করে রবিবারের মধ্যেই বৈদ্যুতিন লাইন পরীক্ষা শেষ করে দেবেন। বাকি বিষয়টি কর্তৃপক্ষ দেখবেন। বর্তমানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তা ঠেকাতে সিসিইউতে ফায়ার অ্যালার্ম ছাড়া আর কোনও ব্যবস্থা নেই। কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন দু’টি ওভারহেড জলাধার তৈরি হয়েছে। পাইপ লাইন বসানো ও পুরনো লাইনের সঙ্গে তা যোগ করার কাজ চলছে। সেগুলো হলে সমস্ত ওয়ার্ডে ‘স্প্রিঙ্কলার’ ব্যবস্থা থাকবে। ফায়ার অ্যালার্ম বাজলেই সেগুলো নিজে থেকেই চালু হয়ে জল ছড়াবে। এছাড়া আগুন নেভাতে জলাধার থেকে জল সরবরাহের আলাদা লাইন থাকবে। শুক্রবারের ঘটনার পরে ভেন্টিলেটরগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার হবে বলে সুপার জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NBMC CCU Fire
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE