Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
একুশের দলবদল দুই শিবিরেই

মঞ্চে দুই বিধায়ক, প্রাক্তন পুরপ্রধান

তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি, মালদহে কংগ্রেসের ভাঙন সবে শুরু হয়েছে এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মতো জেলাতেও সাইনবোর্ডে পরিণত হবে কংগ্রেস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৮ ০২:৫৮
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটেই মালদহে আলগা হয়েছে কংগ্রেসের শক্ত মাটি। এবার তাকে আরও নড়বড়ে করে দিল তৃণমূল। শনিবার কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের দুই বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ও সমর মুখোপাধ্যায় এবং মালদহ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। তিন জনেরই নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। তাঁরা তৃণমূলে নাম লেখানোয় জেলায় দল অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ল বলে মনে করছেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের একাংশ।

কিন্তু কেন এই দলবদল? শহিদ দিবসের মঞ্চে হাজির তিন নেতা-নেত্রীই জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজে সামিল হতেই তৃণমূলে আসা। সাবিনা বলেন, “প্রয়াত কংগ্রেস নেতার স্বপ্ন ছিল মালদহ তথা বাংলার উন্নয়ন। মুখ্যমন্ত্রী সেই লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছেন।’’

তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি, মালদহে কংগ্রেসের ভাঙন সবে শুরু হয়েছে এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মতো জেলাতেও সাইনবোর্ডে পরিণত হবে কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য, দু’একজন বিধায়ক বা নেতা তৃণমূলে গেলেও কংগ্রেস হারিয়ে যাবে না। সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নূরের মন্তব্য, “মানুষ কংগ্রেসের থেকে মোটেই সরে যাননি। তাই এতে দলের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না।”

মালদহ বরাবরই কংগ্রেসের শক্তঘাটি। গত বিধানসভা নির্বাচনেও জেলায় অটুট ছিল কংগ্রেসের দুর্গ। জেলার ১২টি আসনের মধ্যে কোথাও খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল। তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী তথা তৎকালীন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এবং সাবিত্রী মিত্রেরও হার হয়েছিল। তবে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের দুর্গে থাবা বসাতে সক্ষম হয় তৃণমূল। জেলা পরিষদ একক ভাবে দখল করে। দখল করে অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত। কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কেও ভাগ বসায় রাজ্যের শাসকদল।

তার পর থেকেই ঘুম ছুটেছে কংগ্রেসের মালদহের ভরকেন্দ্র তথা কোতোয়ালির। জেলা জুড়ে এই মর্মে জল্পনাও শুরু হয়েছিল যে, কোতোয়ালি পরিবারের কংগ্রেস সদস্য সহ জেলার একাধিক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন।

জেলা কংগ্রেসের একাংশ মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোটে ভরাডুবি এবং সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের দিকে সরে যাওয়ায় চিন্তিত দল। তাই দলের প্রথম সারির নেতারা ঝুঁকতে শুরু করেছেন শাসক-শিবিরে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “আরও বড় বড় নেতা-নেত্রীই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পথে সামিল হবেন। কারণ, সবাই বুঝতে পারছেন যে, উন্নয়ন না করে শুধু প্রতিশ্রুতিতে লাভ হয় না।’’ এ দিন শহিদ দিবসের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গাজলের সিপিএম বিধায়ক দীপালি বিশ্বাসও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Congress Position West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE