আয়োজন: চলছে ভোজন। মেন্দাবাড়িতে। ছবি: নারায়ণ দে
জেলায় ৬৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে দখলে এসেছে মাত্র একটি। সবেধন নীলমণি সেই পঞ্চায়েত জয়ের আনন্দেই মাতল কংগ্রেস।
বুধবার আলিপুরদুয়ারের দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি গ্রামে নাচগান করে উৎসব পালন করেন কংগ্রেস সমর্থকেরা। ছিল মাছ-মাংস দিয়ে ভুরিভোজের আয়োজন। আলিপুরদুয়ার জেলায় ন’শো নিরানব্বইটি পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে জেলায় কংগ্রেস মাত্র সতেরোটি আসন পেয়েছে। জেলায় এমন ফলের মধ্যে কালচিনি ব্লকের মেন্দাবাড়ি পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে রাখায় উচ্ছ্বসিত গ্রামের কংগ্রেস কর্মীরা।
এ দিন দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি এলাকায় কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য মনু রাভার এলাকায় আয়োজন করা হয় ভোজসভার। প্রায় এক কুইন্টাল পাঁঠার মাংস, এক কুইন্টাল শুয়োরের মাংস ও প্রায় ষাট কেজি কাতলা মাছ ও আনাজ দিয়ে ছিল খাওয়ার আয়োজন। এ দিন দুপুর তিনটে বাজতে স্থানীয় বাসিন্দা চুনা রাভার বাড়ির পাশের জমিতে ভিড় করেন প্রায় দু’হাজার বাসিন্দা। ছেলে-বুড়ো সকলে একে একে হাজির হন সেখানে। ছোট অনুষ্ঠান করে সাত পঞ্চায়েত সদস্য ও এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে কাগজের মালা ও ফুলের স্তবক দেওয়া হয়। তার পরে মাদল নিয়ে নাচ-গানে মেতে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা।
জেলায় ১৭টি আসনের মধ্যে কালচিনি ব্লকে রয়েছে দশটি আসন। কালচিনি দশটি আসনের মধ্যে মেন্দাবাড়ি পঞ্চায়েতেই সাতটি আসন পেয়েছে দল। জেলার মধ্যে একটি পঞ্চায়েত সমিতির আসন পেয়েছে কংগ্রেস সেটিও মেন্দাবাড়িতে। মেন্দাবাড়ি পঞ্চায়েত ১১টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ৭টি ও তৃণমূল পেয়েছে ৪টি আসন।
কালচিনি ব্লক কংগ্রসের সভাপতি তথা মেন্দাবাড়ি পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ নার্জিনারি বলেন, ‘‘আমরা ঠিকমতো প্রচার করতে পারিনি। তবে সাধারণ মানুষ আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন। ১১টি আসনের মধ্যে সাতটি আসন আমরা পেয়েছি। আমাদের প্রশাসনের তরফে বিজয় মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রতিটি পঞ্চায়েতের এলাকায় সাধারণ মানুষদের নিয়ে ভুরিভোজের আয়োজন করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy