স্বাগত: মালদহে পৌঁছনোর পরে অভ্যর্থনা। নিজস্ব চিত্র
মাত্র বছর দুয়েক আগের ঘটনা। মালদহ টাউন হলে দলের পাশাপাশি বাম বিধায়কদেরও দলবদল রুখতে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নুর। পরে সেই শপথ ভেঙে তিন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার সেই বিধায়কদের পথ ধরেই ঘাসফুলে গেলেন খোদ নেত্রী মৌসম। নেত্রীর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের একাংশ বিধায়ক থেকে শুরু করে নিচু তলার কর্মী-সমর্থকেরাও। যদিও মৌসমের দাবি, সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মালদহের অনেকেই তাঁর হাত ধরে যোগ দেবেন তৃণমূলে।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মালদহ জেলায় সফল হয়েছিল বাম-কংগ্রেস সমঝোতা। ১২টির মধ্যে ৯টিই জিতেছিল তারা। তৃণমূলের ঝুলি ছিল শূন্য। তাই তৃণমূল দল ভাঙাতে পারে, এই আশঙ্কায় সমস্ত বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন মৌসম। তার পরেও ইংরেজবাজারের নির্দল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, গাজলের সিপিএমের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস এবং মোথাবাড়ির কংগ্রেসের বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন দল ছাড়েন। বিধায়কদের দলবদল নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মৌসম।
পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস ও বামকে পিছনে ফেলে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে জেলায় উঠে এসেছে যথাক্রমে তৃণমূল ও বিজেপি। তার পর থেকে দলবদলের জল্পনা তৈরি হয় মৌসমকে নিয়ে। তাঁর নির্দেশে একাধিক ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত তৃণমূল ও কংগ্রেস একসঙ্গে বোর্ড গঠন করে। তার পরে মৌসমের দলবদলের জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। তবে দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন কোতুয়ালি পরিবারের কংগ্রেসের সাংসদ সদস্য মৌসম।
এখন মৌসম বলছেন, ‘‘বরকত সাহেব ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলতেন। তিনি জননেতা ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীও একজন জননেত্রী। তিনি বরকত সাহেবের মতোই মালদহেও প্রচুর উন্নয়ন করছেন।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, “উত্তর মালদহে বিজেপির ঝড় দেখে ভয় পেয়ে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন মৌসম।” তৃণমূল একাংশের নেতৃত্বের পাল্টা যুক্তি, ২০১১ সালের কংগ্রেস ছেড়ে আসা কৃষ্ণেন্দুকে যে ভাবে জিতিয়ে এনে মন্ত্রিসভায় নিয়েছিলেন মমতা, এ ক্ষেত্রেও তেমনই জয় দেখা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy