অবশেষে ফের কাজ শুরু হল মালদহ বিমানবন্দরের। ২০১৯ এর মধ্যে বিমান বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ণের কাজ সম্পন্ন হবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। ফলে ফের জোরকদমে বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ণের কাজ চলায় খুশি মালদহের বণিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
ইংরেজবাজারের বাগবাড়িতে ৩৫০ একর জমির উপরে রয়েছে মালদহ বিমান বন্দর। ১৯৮০ এ মালদহ বিমান বন্দর থেকে ছোট বিমান পরিষেবা চালু ছিল। যদিও পরে সেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০১৩ নাগাদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা-বালুরঘাট ভায়া মালদহে সাত আসনের সাপ্তাহিক হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করেন। প্রতি বুধবার হেলিকপ্টারটি কলকাতা থেকে মালদহে আসে। আর মালদহ থেকে বালুরঘাটে যায়। হেলিকপ্টারের পর ১৯ আসনের ছোট বিমান চালানোর উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মালদহ ও বালুরঘাট বিমান বন্দরগুলো অধিগ্রহণ করা হয়। তারপরই জোর দেওয়া হয় বন্দরগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়ণের।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, ১৪৫০ মিটার লম্বা ও ৩০ মিটার চওড়া রানওয়ে তৈরি হবে। গড়ে তোলা হবে যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার, প্রতিক্ষালয়ও। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ২০১৭ এর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ণের কাজ শুরু করে পূর্ত দফতর। তবে জুন মাস থেকে বিমান বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ণের কাজ থমকে যায়। কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, মালদহ থেকে ১৯ আসনের বিমান চলাচলে সমস্যা নেই। তবে ৪২ আসনের ক্ষেত্রে জমির পরিমাণ কম হচ্ছে। আরও অন্তত সাত থেকে আট একর জমির প্রয়োজন রয়েছে। সেই জমি দেখতে গিয়েই কাজে দেরি হয়।
মালদহ বিমানবন্দরের ম্যানেজার অরবিন্দ সাহা বলেন, ‘‘জুলাই-এর প্রথম সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু হয়েছে। এখন আর সমস্যা নেই। বিমান বন্দর জুড়ে মাটি ফেলার কাজ চলছে। সেই মাটি রোলার চালিয়ে সমান করে ঢালাই করা হবে। ২০১৯ এর মধ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।’’
মালদহ হয়ে কলকাতা-বালুরঘাট বিমানটি চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথমে ১৯ আসনের বিমান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে চাহিদা বাড়লে পরে ৪২ আসনের বিমানও চালানো হবে। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কর্মাসের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, ‘‘বিমানবন্দরটির সঙ্গে মালদহের মানুষের স্বপ্ন, আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তবে কখনও কাজ চলছে, আবার কখনও বন্ধ থাকছে। বিমান পরিষেবা চালু হলে জেলার অর্থনীতিই বদলে যাবে। তাই প্রশাসনের উচিৎ জোর কদমে বিমানবন্দরের কাজ সম্পন্ন করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy