Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

শিলান্যাস নিয়ে বিতর্কে মৌসম নুর

স্টেডিয়ামের পর এ বার রাস্তা। মালদহের গাজলে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার দু’টি রাস্তার শিলান্যাস করে বিতর্কে জড়ালেন সাংসদ তথা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নুর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৮ ০২:১৩
Share: Save:

স্টেডিয়ামের পর এ বার রাস্তা। মালদহের গাজলে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার দু’টি রাস্তার শিলান্যাস করে বিতর্কে জড়ালেন সাংসদ তথা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নুর। সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ তিনি রাস্তার কাজের শিলান্যাস করতেই হইচই পড়ে যায় শাসক দলের অন্দরে। সড়ক দিবসে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা থেকে আগেই সেই দু’টি রাস্তার শিলান্যাস করে দিয়েছেন বলে দাবি শাসক শিবিরে। এ ছাড়া সরকারি প্রকল্প অনুমতি না নিয়েই শিলান্যাস করায় সাংসদকে নোটিস দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। যদিও শাসক শিবিরের অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ সাংসদ মৌসম।

মাস ছ’য়েক আগে চাঁচল স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেছিলেন মৌসম। সেই সময় সরকারি প্রকল্প প্রশাসনকে না জানিয়ে উদ্বোধন করায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার রাস্তার শিলান্যাস করে বিতর্কে জড়ালেন মৌসম। গাজল ব্লকের দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেহারগাঁও থেকে মহানগর প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে পাঁচ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া ওই ব্লকের মাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেহারগাঁও থেকে বিলাইকান্দর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ছ’কোটি টাকা। এ দিন বিকেলে সেই রাস্তা দু’টির ঘটা করে শিলান্যাস করেন মৌসম। ফলকেও সাংসদের নাম দেওয়া হয়।

আর তাতেই চটেছে শাসক শিবির। তাঁদের দাবি, মার্চে রাস্তা দু’টির কলকাতা থেকেই শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কাজের টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় কি করে সাংসদ সেই রাস্তার শিলান্যাস করলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রভাত পোদ্দার। মৌসম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা। তাই শিলান্যাস হয়েছে। শাসক দল যা খুশি করতে পারে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE