প্রতীকী ছবি।
গত বছর নভেম্বরে উত্তরকন্যায় আয়োজিত প্রশাসনিক বৈঠকে একশো দিনের কাজের পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ধমক’ খেয়েছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তারপরেই কাজে গতি আনতে কোমর বেঁধে নামে টিম কোচবিহার প্রশাসন। ওই ঘটনার বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একশো দিনের কাজ প্রকল্পের জন্য জাতীয় স্তরে পুরস্কার পাচ্ছে কোচবিহার জেলা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক একশো দিনের কাজ প্রকল্পের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন রাজ্যের ১২টি জেলাকে পুরস্কৃত করবে। নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ওই অনুষ্ঠান হবে। সেখানেই পুরস্কার দেওয়া হবে। জেলাগতভাবে এ রাজ্যের কোচবিহার ছাড়া পূর্ব বর্ধমান ওই পুরস্কার পাচ্ছে। জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ভাল কাজ হয়েছে। জাতীয় স্তরে পুরস্কারপ্রাপ্তির চিঠিও এসেছে। এটা কোচবিহারের জন্যই বড় প্রাপ্তি।”
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের জন্য ফি বছর সেরা একাধিক জেলাকে পুরস্কার দেয় কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। জবকার্ডধারীদের কাজের পরিসংখ্যান, নতুন বিকল্প কর্মস্থংস্থানের সুযোগ তৈরি, স্থায়ী সম্পদ তৈরি, কৃষি, মৎস্য, ভূমি সংরক্ষণের মত বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে প্রকল্পের কাজের সমন্বয়ের মত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। তার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত মূল্যায়নের আগে প্রাথমিক তালিকায় থাকা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন’ দেওয়ার জন্য নতুন দিল্লিতে ডাকা হয়। পরে প্রকল্পের ওই প্রেজেন্টেশনের বাস্তবিকতা খতিয়ে দেখতে জেলায় আসেন দিল্লির প্রতিনিধিরা।
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরে কোচবিহারে আগ্রহী জবকার্ডধারীরা গড়ে প্রায় ৫৮ দিন কাজ পেয়েছেন। নদীবাঁধ তৈরি, জমির বালি সরিয়ে কৃষিকাজ উপযোগী করে তোলা, সিমেন্টের ট্যাঙ্কে মাছ চাষ, পোলট্রি ফার্ম করে দেওয়া, বৃক্ষরোপণের সঙ্গে ওই চারাগাছ দেখভালের জন্য ‘বৃক্ষপাট্টা’ দিয়ে বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরির মত কাজ নজর কেড়েছে। প্রশংসা কুড়োয় প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ওই উদ্যোগ।
প্রশাসনের এককর্তা জানান, গত নভেম্বরে গড়ে ২৮ দিন কাজ হয়েছিল জেনে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যার বৈঠকে ‘ধমক’ দেন। তারপরেই নতুন উদ্যমে জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের সবাই নেমে পড়েন। তারজেরে ইতিমধ্যে ‘জোড়া স্কচ’ পুরস্কার পেয়েছে কোচবিহার। জেলার তৎকালীন প্রকল্প নোডাল অফিসার তাপস সিংহরায় দিল্লিতে ওই পুরস্কার নেন। জাতীয় পুরস্কারের খবরে খুশি তাপসবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy