ফেরা: বাড়ির পথে চা শ্রমিকেরা। শনিবার সুকনায়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
এজেন্সির বদলে অস্থায়ী ও দৈনিক হাজিরার শ্রমিকদের সরাসরি বেতন দিতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহার পুরসভা। শনিবার কোচবিহার পুরসভায় বিশেষ বৈঠক হয়। বৈঠকের পর ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ।
চেয়ারম্যান এ দিন বলেন, “চলতি মাস থেকেই এজেন্সি প্রথা বাতিল করে পুরসভা থেকে ঠিকা, অস্থায়ী ও দৈনিক হাজিরার কর্মীদের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ছবি-সহ পরিচয়পত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী, কাজে সমর্থ কর্মীরা যেভাবে কাজ করতেন সেভাবে কাজ করবেন। তাদের কোনও সমস্যা হবে না।” পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, তিনটি এজেন্সির মাধ্যমে এতদিন সাফাই, টোলগেট, জল সরবাহের পাম্প হাউস, বাসস্ট্যান্ড-সহ নানা ক্ষেত্রে কাজ চালানো হত। এ জন্য ফি মাসে গড়ে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হত। শ্রমিকদের বদলে টাকা দেওয়া হত এজেন্সিকে। তারাই শ্রমিকদের বিল মিটিয়ে দিত। পুরসভার কর্তাদের দাবি, এতে কত শ্রমিক কোথায় কাজ করছেন তা স্পষ্ট করে বোঝা যেত না। তাছাড়া শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকায় ভাগ যেত এজেন্সির ঘরে। সবকিছু ভেবেই তাই ওই প্রথা বাতিল করে সরাসরি তাদের জন্য পুরসভার তরফে বেতন চালু করা হচ্ছে।
এ দিনের বৈঠকে ১৫ দিনের মধ্যে কোচবিহার শহর জঞ্জালমুক্ত করা, প্রাচীন বাড়ি, পর্যটক আকর্ষক দিঘি-চত্বর সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং সরানোর ব্যাপারেও আলোচনা হয়। পুরসভার চেয়ারম্যান জানান, বৃষ্টির জন্য এ দিন বিকেলে বেআইনি হোর্ডিং সরানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে দ্রুত ওই ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে। জঞ্জাল সাফাই করতেও রবিবার থেকেই অভিযান শুরু হবে। আবর্জনা সংগ্রহে নতুন ব্যাটারি চালিত ভ্যান কেনার কথা হয়েছে।
পানীয় জল সমস্যা নিয়েও বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়েছে। তোর্সার নদীর জল পরিস্রুত করার কাজের অগ্রগতি থেকে বাড়িতে সংযোগের ব্যাপারে আলোচনা হয়। একমাসের মধ্যে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে পুরসভা। ভূষণবাবু জানান, ৭৫ শতাংশ বাড়িতে সংযোগও দেওয়া হবে। কোচবিহার একটি হেলথ ক্লিনিক চালু নিয়েও আলোচনা হয়। সে জন্য ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জায়গার সমস্যায় বিকল্প জমি দেখার প্রক্রিয়া চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy