প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাস ‘পজ়িটিভ’ রোগীদের কাউকে কোভিড হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া, কাউকে কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি রাখা নিয়ে মালদহে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
জেলাবাসীর একাংশের বক্তব্য, যে রোগীদের ছুটি দিয়ে গৃহবাসে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের ফের লালারস পরীক্ষা করা হবে না বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। অথচ, যে সব রোগীরা কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের ফের লালারস পরীক্ষা করা হচ্ছে। অনেকের রিপোর্ট ফের পজ়িটিভ আসছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মানিকচক কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি এমনই পাঁচ জন রোগীর রিপোর্ট বুধবার পজ়িটিভ আসে।
তার জেরে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। রোগীর পরিজনেরাও বিষয়টি নিয়ে আতান্তরে। তাঁদের অভিযোগ, এ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে সন্তোষজনক কোনও ব্যাখ্যা মিলছে না। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য বলছেন, ‘‘আইসিএমআর-এর গাইডলাইন মেনে রোগীদের কোভিড হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে।’’
এ দিকে, বুধবার হবিবপুর ব্লকের জগজীবনপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তিনি মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন। প্রশাসনিক হিসেবে, এতে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১২৭ জন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে করোনা আক্রান্তদের চার জায়গায় রেখে চিকিৎসা চলছে। উপসর্গহীন রোগীদের রাখা হচ্ছে মানিকচক, কালিয়াচক ১ ও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কোভিড কেয়ার সেন্টারে। উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীর পাশাপাশি ইংরেজবাজার, গাজল, হবিবপুর, বামনগোলা ও পুরাতন মালদহ ব্লকের উপসর্গহীন রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে নারায়ণপুর বাইপাসে জেলা কোভিড হাসপাতালে। ২৫ মে কোভিড হাসপাতাল থেকে ২৬ জন রোগীকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ইংরেজবাজার ব্লকের বেশিরভাগ রোগী। জানা গিয়েছে, ওই রোগীরা ১৪ মে মুম্বই থেকে জেলায় ফেরেন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আইসিএমআর-এর নতুন গাইডলাইন মেনে ওই রোগীদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাইডলাইনে রয়েছে লালারস সংগ্রহের ১০ দিনের মধ্যে পজ়িটিভ রোগীর যদি কোনও উপসর্গ না থাকে এবং শেষ তিন দিনে জ্বর না আসে, তবে সেই রোগীকে কোভিড হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো যাবে।
প্রশ্ন উঠেছে, আইসিএমআর-এর গাইডলাইন কি শুধু কোভিড হাসপাতালের ক্ষেত্রে মানা হবে, কোভিড কেয়ার সেন্টারগুলিতে নয়? কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি রোগীদের যদি ‘রিপিট টেস্ট’ হয়, তবে কোভিড হাসপাতালের রোগীদের ক্ষেত্রে তা না করে কেন ছাড়া হল? জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, "আইসিএমআর-এর নতুন গাইডলাইন মেনেই চিকিৎসা চলছে বা ছুটি দেওয়া হচ্ছে। মানিকচক কোভিড কেয়ার সেন্টারের ক্ষেত্রে কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে বলতে হবে। রিপিট টেস্টের জন্য ওই রোগীদের কবে ফের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল সেটাও দেখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy