প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাসের আক্রমণ রুখতে সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠল দুই যুবতী ও এক যুবকের বিরুদ্ধে। যার জেরে পুলিশের সাহায্যে কালচিনির সুহাসিনী চা বাগান এলাকার বাসিন্দা ওই তিনজনকে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ১৪ দিনের আইসোলেশনে পাঠাল আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের সাফ কথা, করোনাভাইরাসের আক্রমণ রুখতে সরকারি নির্দেশ কেউ অমান্য করলে প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শাস্তি হতে পারে।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে আলিপুরদুয়ার থেকেও বছরভর প্রচুর মানুষ কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে যান। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যেই এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় তাঁদের অনেকেই এই মুহূর্তে প্রতিদিনই আলিপুরদুয়ারে নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, যাঁদের মধ্যে সম্প্রতি হায়দরাবাদ থেকে দুই যুবতী ও পঞ্জাব থেকে এক যুবক সুহাসিনী চা বাগান এলাকায় তাঁদের বাড়িতে ফেরেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে গিয়ে তাঁদের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করেন। সেইসঙ্গে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু অভিযোগ, তাতে রাজি না হওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই তিনজনকে একরকম জোর করেই সুহাসিনী চা বাগানের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, ‘‘সুহাসিনী চা বাগানের তিনজন আমাদের নির্দেশ মানছিলেন না। সেজন্য তাঁদের পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে আমরা ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে দিই। যদিও তাঁদের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁদের ১৪ দিনের হোম কোয়রান্টিনে থাকা আবশ্যক। সেটা না মানাতেই তাঁদের নিয়ে এই ব্যবস্থা আমরা নিই।’’
স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ সূত্রের খবর, দিন দুয়েক আগে ওই দুই যুবতী ও যুবক জেলায় ফেরেন। সেই খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। সেই নির্দেশ না মানায় স্বাস্থ্য দফতর তাঁদের বাগান হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু অভিযোগ, এ দিন সেখানেও ঝামেলা শুরু করে দেন ওই তিনজন। যার জেরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী ওই তিনজনকে আমরা ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’
আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘বাইরে থেকে যাঁরা জেলায় ফিরছেন, তাঁদের সকলকে সরকারি নির্দেশ পালন করতে হবে। সেই নির্দেশ পালন করা হচ্ছে কিনা সেদিকে আমাদের কড়া নজর রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy