প্রতীকী ছবি
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে রয়েছে মাত্র ৯২০ বোতল স্যানিটাইজ়ার! মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এমন তথ্য শোনার পর চমকে ওঠেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তখনই তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন দ্রুত আবগারি দফতরের কাছে কয়েক হাজার বোতল স্যানিটাইজ়ার চাইতে।
এ দিন ওই বৈঠকে দফতরের কাছে বিভিন্ন মজুত সরঞ্জামের সামগ্রীর হিসেব নিতে গিয়েই উঠে আসে এমন শোচনীয় তথ্য।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতর কতটা প্রস্তুত তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে এ দিন বৈঠক হয়েছে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীও বৈঠকে ছিলেন। তিনি চা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বৈঠকে ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
লকডাউনের সময় রাস্তায় এত লোক হচ্ছে কেন, তা নিয়ে এ দিন বৈঠকে মন্ত্রীর সামনেই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চান জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সৈকতের প্রশ্নের পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে সংক্রমণ রুখতে শহরের বাজারগুলিকে ভাগ করে দেওয়া হবে। স্টেশন বাজার, পান্ডাপাড়া বাজার, বয়েলখানা বাজারগুলিকে কয়েক ভাগে ভাগ করে বসানো হবে।
এ দিন বৈঠকের পরে গৌতম দেব জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
সূত্রের খবর, জেলায় নতুন করে ১২০০ পিপিই এসেছে। এর আগে ২০০ পিপিই জেলায় ছিল। এখন সমস্যা হয়েছে স্যানিটাইজ়ারের। সুপার স্পেশ্যালিটি ও অন্য হাসপাতালে মিলিয়ে হাজারখানেক স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। সকলকেই কিছু সময় বাদে বাদে স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধুতে হচ্ছে। ৯২০ বোতল স্যানিটাইজ়ার ফুরোতে বেশি সময় লাগবে না। সে কারণেই আবগারি দফতরকে দ্রুত স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, “যথেষ্ট পরিমাণে পিপিই মজুত রয়েছে। জেলায় ৮টি ভেন্টিলেটরও রয়েছে। বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণে ৩০০ শয্যার কোয়রান্টিন তৈরি হচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলা করোনার সঙ্গে মোকাবিলায় প্রস্তুত।”
জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং ফাটাপুকুরের দুটি কোয়রান্টিন মিলিয়ে ১৯ জন ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের কয়েকজনের লালরসের নমুনা এ দিন পরীক্ষায় পাঠানোর কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy