Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

এত লোক এল কোথা থেকে, প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

জেলাশাসক জানান, কেরল এবং মহারাষ্ট্রে অনেকে গিয়েছিলেন। তাঁরা ফিরে আসছেন। মুখ্যমন্ত্রী তখনই নির্দেশ দেন চা বাগানে নজরদারি বাড়াতে হবে।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ০১:৫৫
Share: Save:

চা বাগানে বাইরের লোক ঢুকল কোথা থেকে— জেলাশাসকের কাছে জানতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে সব জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারির কাছে চা বাগানের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক জানান, চা বাগানে বাইরে থেকে কিছু লোক ফিরেছেন। সবাইকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তখনই মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “কারা ঢুকল? কোথা থেকে ঢুকল?”

জেলাশাসক জানান, কেরল এবং মহারাষ্ট্রে অনেকে গিয়েছিলেন। তাঁরা ফিরে আসছেন। মুখ্যমন্ত্রী তখনই নির্দেশ দেন চা বাগানে নজরদারি বাড়াতে হবে। চা বাগান এলাকার হাসপাতালগুলিকেও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জেলাশাসক প্রস্তাব দিয়েছেন। জেলার চা বাগানগুলিকে নিয়ে বৈঠক করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনকে। চা শ্রমিকদের কী ভাবে নিরাপদে রাখা যায় তার রূপরেখা দ্রুত তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

জলপাইগুড়ি প্রশাসনের হিসেবে এখনও পর্যন্ত জেলায় অন্তত আট হাজার লোক ফিরেছেন। বেশিরভাগই চা বাগান এলাকার বাসিন্দা। কারা বাইরে থেকে ফিরছেন তাঁদের চিহ্নিত করে প্রশাসন সকলকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তা নিয়ে সমস্যাও তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ শ্রমিক পরিবারে একটি বা দুটি ঘরে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে তাঁরা বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকবেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। জেলা প্রশাসনের প্রস্তাব, চা বাগানের হাসপাতাল এবং স্কুলগুলি অথবা কোনও কমিউনিটি কেন্দ্রকে কোয়রান্টিনে পরিণত করা যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে চা বাগান কর্তৃপক্ষের সম্মতি প্রয়োজন। চা বাগান কর্তৃপক্ষ রাজি না থাকলে হাসপাতাল ব্যবহার সম্ভব নয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, এই সম্মতি নিতেই চা বাগান মালিকদের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

চা শ্রমিক সংগঠনগুলি জনতা কার্ফুর সময় থেকেই সব বাগান বন্ধের দাবি তুলেছে। তবে চা গাছের যাতে পরিচর্যা হয় তার ব্যবস্থা করতে ওষুধ ছেটানো. জল দেওয়ার ছাড় দেওয়া হয়েছে। সে কাজ করার সময়েও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE