Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

মাঝের ক’টা দিন নিয়ে ভাবছে প্রশাসন

সরকারি সূত্রের খবর, ৭ মার্চ চেন্নাই-শিলিগুড়ি থেকে বিমানে পৌঁছন। দক্ষিণ চেন্নাই-র ভেল্লাচেলি এলাকায় মেয়েকে ডাক্তার দেখান। মেয়ের একটি অস্ত্রোপচার হয়।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ০১:৪৮
Share: Save:

করোনা সংক্রমণে মৃত কালিম্পংয়ের বাসিন্দার শরীরে কী ভাবে সংক্রমণ হল তা জানার চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতর। রবিবার গভীর রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মারা গিয়েছেন ওই মহিলা। ২৬ মার্চ বিকাল থেকে তিনি মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছিল, ৭ মার্চ তিনি ছোট মেয়েকে নিয়ে চেন্নাই গিয়েছিলেন। ১৯ মার্চ ফেরেন। তারপরেই তিনি সংক্রমিত হন। তাহলে কী চেন্নাই থেকেই সংক্রমণ হয়েছে নাকি অন্য কোথাও হয়েছে! ‌ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য কর্তাদের।

সরকারি সূত্রের খবর, ৭ মার্চ চেন্নাই-শিলিগুড়ি থেকে বিমানে পৌঁছন। দক্ষিণ চেন্নাই-র ভেল্লাচেলি এলাকায় মেয়েকে ডাক্তার দেখান। মেয়ের একটি অস্ত্রোপচার হয়। ৮ মার্চ বিকাল অবধি সেখানেই ছিলেন। ওই দিন বিকাল নাগাদ মেয়েকে নিয়ে গুরুভেনচরিতে যান। মূল চেন্নাই থেকে যার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারের বেশি। সেখানে একটি বিরাট কমপ্লেক্সে ৮ মার্চ থেকে টানা ১১ দিন ছিলেন। ১৯ মার্চ বিমান ধরে চেন্নাই থেকে শিলিগুড়ি ফেরেন। ফেরার আগে দু’দিন তিনি চোখ, হাড় ও নাকের চিকিৎসকের সঙ্গে পুরনো মেডিক্যাল সংস্থায় গিয়ে পরামর্শ করেন। এর আগের ন’দিন মা এবং মেয়ে ঠিক কী করেছেন, কোথায় কোথায় গিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

স্বাস্থ্য দফতর মনে করছে, মহিলার সঙ্গে থাকা ছোট মেয়ে এখন কালিম্পং জেলার আইসোলেশনে রয়েছে। এখনও তার করোনা সংক্রান্ত পরীক্ষার রিপোর্ট হয়নি। তার থেকে জানার চেষ্টা চলছে যে মা ও মেয়ে ওই অ্যাপার্টমেন্টে ন’দিন বসে ছিলেন, না কি অন্য কোথাও ঘুরতে গিয়েছিলেন। ওই অ্যাপার্টমেন্টে অনেকে ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকেন। আবার চেন্নাই-এর লাগোয়া এলাকায় বিমানে, ট্রেনে কাজে এবং চিকিৎসায় এসে অনেকেই থাকেন। বিদেশিদের আনাগানোও থাকতে পারে। ইতিমধ্যে মা ও মেয়ে যে ফ্ল্যাটে ছিলেন সেটির মালিকের নাম মিলেছে। নম্বর জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। যে বিমানে তাঁরা এসেছিলেন সেটির যাত্রীদের খোঁজ চলছে। ছ’জনকে সিকিমে চিহ্নিত করা গিয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে চেন্নাই-র পাশের ওই শহরের বাজারঘাট, নার্সিংহোম। কালিম্পং প্রশাসনের কয়েকজন জানান, মেয়েটির টেস্ট রিপোর্ট আসা জরুরি। কারণ তাঁর এখনও সংক্রমণের খুব একটা লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে না। মেয়েটি কথা বলা পুরোপুরি শুরু করলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE