প্রতীকী ছবি।
পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের শ্মশান পরিদর্শন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। শনিবার রায়গঞ্জ শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দর শ্মশান এলাকায়। প্রশাসন ওই শ্মশানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দেহ সৎকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে— এই অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন শ্মশান লাগোয়া কুলিক বাঁধ এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা এদিন সকাল থেকে গাছের ডাল ও বাঁশ দিয়ে শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ঘণ্টাতিনেক বিক্ষোভ চলার পরে পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার তপন দাসের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক অর্ঘ্য ঘোষের অবশ্য দাবি, শ্মশানের বর্জ্য যাতে নদীতে না মেশে, সে জন্য শ্মশান লাগোয়া জমিতে একটি প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে। ওই শ্মশানে করোনাভাইরাসে মৃতদের দেহ সৎকারের বিষয়ে কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নি। কোনও গুজব বা বাসিন্দারা ভুল বুঝে আন্দোলন করেছেন। ওই শ্মশান লাগোয়া কুলিক বাঁধ এলাকায় শহরের ২২ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস। সেখানে কাঠের ও বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। শুক্রবার ওই শ্মশান পরিদর্শনে যান রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা, রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক অর্ঘ্য ঘোষ, রায়গঞ্জের পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস, স্থানীয় কাউন্সিলার তপন দাস, পুরসভার আরও দুই কাউন্সিলার সাধন বর্মণ, বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শ্মশান-লাগোয়া কুলিক বাঁধ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই শ্মশানে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দেহ সৎকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সেখানে করোনায় মৃতদের দেহ পোড়ানো ও কবর দেওয়া হলে শ্মশান লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াবে। সেই আশঙ্কায় তাঁরা এ দিন আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন।
পুরপ্রধান সন্দীপ ও স্থানীয় কাউন্সিলার তপনের বক্তব্য, বাসিন্দাদের কেউ বা কারা ভুল বুঝিয়ে বা তাঁদের মধ্যে গুজব রটিয়ে পরিস্থিতি জটিল করেছে। করোনাভাইরাস রুখতে সরকারি ভাবে সব ধরণের জমায়েত নিষিদ্ধ রয়েছে। তাই শ্মশান সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা লকডাউন চলাকালীন বিনা কারণে আন্দোলনের নামে কোনও জমায়েত করে আইন নিজের হাতে না নেন, সেই ব্যাপারে পুরসভার তরফে তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy