Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

আরও সংক্রমণ ইঙ্গিত?

এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এক নার্সের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁকেও ওই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০ ০৬:২৮
Share: Save:

জ্বর, সর্দির উপসর্গ দেখা দেওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারদের একজনকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষায় প্রথম স্ক্রিনিং রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় বুধবার হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। সংক্রমণ নিশ্চিত কিনা, তা দেখতে নমুনা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করা হবে। তাঁর কোয়ার্টারে থাকা পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। ওই কোয়ার্টারে উপরতলায় থাকেন শিলিগুড়ি হাসপাতালের এক নার্স। তাঁকেও হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এক নার্সের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁকেও ওই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে থাকা এক টেকনিশিয়ানকেও হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অবস্থা খতিয়ে দেখতে বিশেষ দল পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। মেডিক্যালের জন্য বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হচ্ছে ডাক্তার ঢালিকে। তাঁর সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অভিজিৎ রায়চৌধুরীকেও পাঠানো হচ্ছে। অভিজিৎবাবু ফিরে গিয়ে রিপোর্ট দেবেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরে স্বাস্থ্য দফতর থেকেও খোঁজখবর শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল নিয়ে। মেডিক্যালেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, যে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে ভর্তি করানো হয়েছে, তিনি কুইক রেসপন্স টিমের অন্যতম সদস্য ছিলেন। গোড়া থেকেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট প্রস্তুত করা— সব তাঁকেই করতে হয়েছে। কালিম্পঙের বাসিন্দা যে করোনা আক্রান্ত মহিলা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি

ছিলেন, তাঁর চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মারা গেলে দাহ করার ব্যবস্থা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার দেখভাল করেছেন। তাই তাঁর সংক্রমণ নিশ্চিত হলে তা চিন্তার কারণ হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কেন? হাসপাতাল সূত্রে বলা হচ্ছে, ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের কাছে নার্স, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নানা কাজে যেতে হত। হাসপাতাসের সুপার-সহ কর্তৃপক্ষের অন্যদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকেও তিনি থাকতেন। সম্প্রতি পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যদের বিভিন্ন বৈঠকেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী পরিষেবার নানা কাজেও ওই তিনি যেতেন। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের সুপারের দফতরের কর্মী, আধিকারিকদের হাইড্রোক্সিক্লোরকুইনের ডোজ় দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করা হয়েছে বলে হাসপাতালেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

শিলিগুড়ি হাসপাতালের যে নার্সকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে, তিনি ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের কোয়ার্টার্সের উপর তলায় থাকেন। সম্প্রতি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের কোয়ার্টার্সে পরিবারের এক সদস্যকে ইঞ্জেকশন দিতে গিয়েছিলেন। তিন দিন ছুটিতে থাকার পর এদিন শিলিগুড়ি হাসপাতালে কাজে গিয়ে তিনি সুপারকে তাঁর সন্দেহের কথা জানালে তাঁকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আইসোলেশনে এক নার্স, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে নিয়ে ৬ জন ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের দু’জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health North Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE