প্রতীকী ছবি
অবশেষে উত্তরবঙ্গে থাবা বসালো করোনাভাইরাস। শনিবার কলকাতার নাইসেডের তরফে পাঠানো এক বার্তায় জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে পাঠানো একটি নমুনায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঞ্চাশের এই মহিলা কালিম্পংয়ের বাসিন্দা। তিনি গত বৃহস্পতিবার সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার পরে লালারসের নমুনা কলকাতায় নাইসেডে পাঠানো হয়। মেডিক্যাল সূত্রে জানানো হয়েছে, নাইসেড এ দিন রিপোর্টে জানিয়েছে ওই লালারসে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মহিলা সম্প্রতি চেন্নাই থেকে ফিরেছেন। তার পরেই তাঁর করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা যায় বলে হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় পরদিন মহিলাকে রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। দু’দিন ধরে তিনি সেখানেই রয়েছেন, জানিয়েছেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।
উত্তরবঙ্গ থেকে এ পর্যন্ত যত জনের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল, তার প্রায় সকলেই নেগেটিভ হয়েছে। এ দিনও আলিপুরদুয়ারের এক দম্পতির নমুনা পরীক্ষার পরে জানা যায়, তাঁদের সংক্রমণ নেই। কিন্তু মেডিক্যালের রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে যে তিন জন ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের নিয়েই বেশি চিন্তা— জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই তিন জনের অন্যতম কালিম্পংয়ের বাসিন্দা এই মহিলাও। হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এখনও ৯ জন এখানে আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছেন। তার মধ্যে একটি শিশুও আছে। তাঁদের সকলেরই লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের পর থেকে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শনিবারই কোচবিহারের মাথাভাঙার এক বাসিন্দার মৃত্যুতে করোনা আতঙ্ক তৈরি হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়, ওই ব্যক্তির হাপানি ছিল দীর্ঘদিন ধরে। পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ বলেন, ‘‘আসলে এই ঋতু বদলের সময়ে অনেকেরই জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট হলে তাই নিয়ে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।’’
মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর থেকে আরও সতর্কতা নেওয়া হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেও জানানো হয়েছে, এর পর থেকে কোনও রকম ভাবে সংক্রমণ দেখলেই তা খতিয়ে দেখা হবে। এই মুহূর্তে যে লকডাউন চলছে, তা যাতে কঠোর ভাবে পালন করা হয়, তা নিয়েও জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy