ব্যবস্থা: রাস্তায় জটলা ভাঙতে পুলিশ লাঠিচার্জ করছে। সোমবার আলিপুরদুয়ারে। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের বিধিনির্দেশ অমান্যে পুলিশের লাঠিপেটা। সোমবার বিকালে এমনই চিত্র দেখা গেল আলিপুরদুয়ার শহরের একাধিক জায়গায়। নির্দেশ অমান্য করে বিকেল পাঁচটার পরও জটলা করে থাকায় আলিপুরদুয়ার শহরের বড় বাজার চত্বর ও আরও কিছু জায়গায় পুলিশকে লাঠিপেটা করতে হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলার পুলিশ কর্তারা।
সরকারি নির্দেশে সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে আলিপুরদুয়ার শহর ও জয়গাঁয় লকডাউনের কথা বলা হয়। সেইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ফালাকাটা ব্লককেও লকডাউনের আওতায় আনা হয়। কিন্তু অভিযোগ, বিকাল পাঁচটার মধ্যে আলিপুরদুয়ার শহরে বেশিরভাগ দোকান-পাট বন্ধ হলেও, ফুটপাতে বেশ কিছু দোকান খোলা ছিল বলে অভিযোগ।
আরও অভিযোগ, বড়বাজার, আলিপুরদুয়ার চৌপথি সহ একাধিক জায়গায় সাধারণ মানুষের অনেকে জটলা করে দাঁড়িয়েও থাকেন। সূত্রের খবর, প্রায় আধঘণ্টা আবেদন-নিবেদনের মধ্যে দিয়েই সবাইকে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করে পুলিশ। অভিযোগ, ফুটপাতের দোকান বন্ধ হলেও অনেক জায়গাতেই জটলা চলতে থাকে। সেই সব জটলা দেখামাত্র সেখানে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। আর তারপরই কার্যত ফাঁকা হয়ে যায় আলিপুরদুয়ার শহর।
শহরের বাসিন্দাদের অনেকেই পুলিশের এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে পুলিশের প্রশংসা করতেও শুরু করেছেন। তবে জেলার পুলিশ কর্তারা অবশ্য লাঠিপেটার কথা মানতে নারাজ। পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। বিকাল পাঁচটার পর থেকে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আলিপুরদুয়ারে লকডাউন চলছে।’’
তবে ভুটান সীমান্তের শহর জয়গাঁ কিংবা ফালাকাটার চিত্রটা কিন্তু লকডাউন শুরুর পর অপেক্ষাকৃত আলাদা ছিল। বিকেল পাঁচটার আগেই ফালাকাটার রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা হতে শুরু করে। একই চিত্র দেখা যায় জয়গাঁতেও। এ দিন বিকেল পাঁচটা বাজতে না বাজতে সেখানকার পুলিশকর্তারা রাস্তায় নেমে পড়েন। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জয়গাঁয় পাঁচটা বাজতেই প্রায় সকলকেই বাধ্য হয়ে সরকারি নির্দেশ মানতে দেখা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy