ফাইল চিত্র
এই প্রথম মালদহ মেডিক্যালের ভাইরোলজি ল্যাবে লালারসের নমুনা ‘ব্যাকলগ’ শূন্য হল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত এই ল্যাবে ৫২৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এবং তাতেই ব্যাকলগের সংখ্যা শূন্যতে দাঁড়ায়। সূত্রে খবর, বেশি সংখ্যায় পুল টেস্ট করেই ল্যাবে জমে থাকা লালারসের নমুনা শূন্য হল। তবে, নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ জেলায় কম বলে অভিযোগ। এ দিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও তিন জনের নমুনায় পজ়িটিভ মিলেছে। এদের মধ্যে দু’জন পরিযায়ী শ্রমিক এবং একজন ব্যবসায়ী। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তাদের কোভিড হাসপাতাল ও সেফ হোমে ভর্তি করা হয়েছে।’’ নতুন এই তিন জনকে নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩১৪।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার আক্রান্তদের মধ্যে ২২ বছরের এক যুবকের বাড়ি রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দটোলা পঞ্চায়েতের বাজিতপুরে। ওই যুবক গত সপ্তাহে দিল্লি থেকে ফেরেন। সেখানে নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। রতুয়া হাসপাতালে ১১ তারিখ লালারসের নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল। এ দিকে, ২২ বছরের আর এক আক্রান্তের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ভালুকা পঞ্চায়েতের ফতেপুরে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক গত সপ্তাহে দিল্লি থেকে বাড়িতে ফেরেন। অসুস্থ হওয়ায় তাকে মালদহ মেডিক্যালের সারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই নমুনা নেওয়া হয়। তৃতীয় আক্রান্ত ৩৫ বছরের ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি কালিয়াচক ১ ব্লকের সিলামপুর ২ পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুরে। কালিয়াচক বাজারে তার বইয়ের দোকান আছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী সম্ভবত কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন।
এ দিকে, রবিবার ৪৭৯টি পুল টেস্ট করা হয়েছে, বাকি ৪৯টি নমুনা এককভাবে পরীক্ষা করা হয়। মালদহ মেডিক্যালের সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন, ‘‘এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy