পরীক্ষা: ভিন রাজ্য থেকে আগত ট্রাক চালকদের শারীরিক পরীক্ষা চলছে। ময়নাগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
করোনার কারণে ভিনরাজ্যে কর্মরত বহু শ্রমিক ঘরে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। লকডাউনের আগে তাঁদের অনেকে ফিরেও এসেছেন। কিন্তু যাঁরা ফিরতে পারেননি বিপাকে পড়েছেন তাঁরাই।
সেখানে কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কর্তৃপক্ষও তাঁদের বাড়ি চলে যেতে বলেছেন। বাড়ি ফেরার প্রায় সমস্ত রাস্তাই বন্ধ। হাতে টাকাপয়সাও বাড়ন্ত। এই অবস্থায় তাঁরা যে কী করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না ভিনরাজ্যে থাকা কোচবিহারের অনেকেই।
শুধু কোচবিহার নয়, উত্তরবঙ্গের বহু শ্রমিক কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। লকডাউনের কারণে তাঁদের অনেকেই ফিরতে পারেননি। ফলে, একদিকে তাঁরা করোনা নিয়ে যেমন উদ্বেগে আছেন, তেমনি জমানো টাকাপয়সাও শেষ হতে চলেছে।
দিনহাটার আলোকঝাড়ির বাসিন্দা ফিরদৌস আলি কয়েক বছর ধরে নয়ডায় থাকেন। সেখানে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আরও শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের অনেকেই ফিরলেও ফিরদৌস ও তাঁর মতো বেশ কয়েক জন সেখানেই থেকে যান। তাঁরা ভেবেছিলেন, পরিস্থিতি দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। উদ্বিগ্ন ফিরদৌস বলছেন, ‘‘যখন ফেরার চেষ্টা শুরু করলাম তখনই লকডাউন হয়ে গেল। পনেরো দিন আগে কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জমানো টাকাও প্রায় ফুরিয়ে এল। কিছু একটা সুরাহা না হলে খুব বিপদে পড়ে যাব।”
এমন অবস্থায় আশার আলো দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি দেশের ১৮টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছেন, সেখানে থাকা বাংলার বাসিন্দাদের যেন আশ্রয়, খাবার এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সবরকম ব্যবস্থা করা হয়। কোচবিহারের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “কেউ, সমস্যার কথা জানালে তাঁকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। বাইরে যাঁরা আছেন তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে বিষয়েও প্রশাসনিক স্তরেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, দেশে করোনার প্রভাব শুরু হতেই কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের অনেকেই ফিরতে শুরু করেন নিজেদের বাড়িতে। কোচবিহারে চার হাজারের বেশি শ্রমিক ফিরেছেন। লকডাউন ঘোষণার পরেই সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি ভিনরাজ্যে থেকে ফেরা শ্রমিকদের নিয়ে আতঙ্কও শুরু হয়। বিভিন্ন থেকে অনেকেই জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ নিয়ে ফিরেছেন কোচবিহারে। ইতিমধ্যে দু’হাজারেরও বেশি শ্রমিককে হোম কোয়রান্টিনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy