Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভিন্‌ রাজ্যের শ্রমিকদের ফেরা নিয়ে ধোঁয়াশা

ভিন্‌ রাজ্য থেকে শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। কিন্তু জেলার কত জন শ্রমিক ভিন্‌ রাজ্যে রয়েছেন, জেলা প্রশাসনের হাতে সেই তথ্যই নেই। আদৌ শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কিনা, তা নিয়েও ধোঁয়াশায় জেলা প্রশাসন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০৬:৩১
Share: Save:

ভিন্‌ রাজ্য থেকে শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। কিন্তু জেলার কত জন শ্রমিক ভিন্‌ রাজ্যে রয়েছেন, জেলা প্রশাসনের হাতে সেই তথ্যই নেই। আদৌ শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কিনা, তা নিয়েও ধোঁয়াশায় জেলা প্রশাসন।

দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, ‘‘শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে নবান্ন থেকে কথাবার্তা হচ্ছে। আমাদের কাছে নির্দেশ এলে তার পর তথ্য নেওয়া হবে।" প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জেলার আটটি ব্লক থেকেই প্রচুর বাসিন্দা ভিন্‌ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে যান। লকডাউন জারি হতেই সে সব শ্রমিকেরা কাজ হারিয়ে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, কেরলের মতো একাধিক রাজ্যে আটকে পড়েছেন। খাদ্য ও আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন তাঁরা। উদ্বেগে রয়েছেন তাদের পরিবারও।

হরিয়ানায় আটকে থাকা শ্রমিক সমর বিশ্বাস ফোনে বলেন, "খুব কষ্টে রয়েছি। কী ভাবে বাড়ি ফিরব বুঝতে পারছি না। সরকার আমাদের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করুক।’’

ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য বিশেষ ট্রেনে সে রাজ্যের শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদেরও শীঘ্রই সে ভাবে ফেরানোর ব্যবস্থা করার দাবি জোরালো হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকদের সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য না থাকলে তাঁদের কী ভাবে ফিরিয়ে আনা হবে, তা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে। প্রশাসনিক এক আধিকারিক অবশ্য জানিয়েছেন, এখনও বিষেয ট্রেনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেই প্রত্যেক ব্লক থেকে বিডিও-রা শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করে তা নবান্নে পাঠালেই সমস্যা মিটে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus lockdown labour
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE