Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
লকডাউনকেই দুষছেন ডিস্ট্রিবিউটরেরা
Coronavirus

জেলায় ওষুধের সঙ্কট

কোচবিহারের বাসিন্দা নীলাদ্রি দেব জানালেন, কয়েক বছর আগে তাঁর বাবার ‘অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি’ হয়েছে। সে জন্য নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৩৭
Share: Save:

সকাল থেকেই হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন নীলাদ্রী। একের পর এক দোকান খুঁজেও মিলছিল না প্রয়োজনীয় ওষুধ।

কোচবিহারের বাসিন্দা নীলাদ্রি দেব জানালেন, কয়েক বছর আগে তাঁর বাবার ‘অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি’ হয়েছে। সে জন্য নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। তার মধ্যে একটি ওষুধ ‘অ্যাপ্রিসোল-২৫’ কোচবিহারে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “ওই ওষুধ এমনিতে কোচবিহারে পাওয়া যায়। শিলিগুড়ি বা কলকাতায় তো সব দোকানেই রয়েছে। পরিবহণ সমস্যায় কেউই তা আনতে পারছেন বলে জানিয়েছেন।” শুধু ওই একটি ওষুধ নয়, এমনই আরও কিছু ওষুধের ক্ষেত্রেও টান পড়েছে।

বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোচবিহার জেলার সদস্য ওষুধ ব্যবসায়ী রথীন পাঠক অবশ্য বলেন, “এখনও সমস্ত ওষুধ স্বাভাবিক রয়েছে। দু’একটি’র ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। আসলে কলকাতার সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ থাকায় ওই সমস্যা হয়েছে। লকডাউনে ছাড় পেলেই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।” তিনি জানান, নির্দিষ্ট দূরত্বে গ্রাহকদের দাঁড় করিয়েই ওষুধ দিচ্ছেন তাঁরা।

ব্যবসায়ীরা জানালেন, বেশিভাগ ওষুধ কলকাতা থেকেই কোচবিহার পৌঁছয়। অনেকেই তাই নিয়মিত যাতায়াত করেন। ক্যুরিয়র সার্ভিসের মাধ্যমেও অনেকে ওষুধ নিয়ে আসেন। লকডাউন শুরুর সময় থেকেই কোচবিহারে মুদির দোকানের মতো ভিড় পড়ে ওষুধের দোকানেও।

অনেকেই প্রয়োজনীয় ওষুধ এক থেকে দুই মাসের মতো মজুত করে নেন। ফলে ওই মুহূর্তে একই সময়ে প্রচুর ওষুধ বিক্রি হয়। সাধারণত খুচরো ব্যবসায়ীরা সারা বছরের বিক্রির হিসেব কষেই ওষুধ মজুত রাখেন। একেবারে বিক্রি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা টান তৈরি হয়। পরে অবশ্য নতুন করে দ্রুততার সঙ্গেই আরও ওষুধ মজুত করা হয়। কিন্তু তার পরেও কিছু ওষুধ এখনও চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না বলে অভিযোগ।

যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওষুধের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। ওষুধ পরিষেবা স্বাভাবিকই থাকবে।

করোনা-আতঙ্কে এমনিতেই কোচবিহারে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ রয়েছে। নার্সিংহোমগুলিতে বহির্বিভাগ বন্ধ। হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে রক্তসঙ্কট।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE